‘আমার আর সাকিবের কেমেস্ট্রি ভালো’
তারা দুজনই বিকেএসপির ছাত্র। বয়স ভিত্তিক দলেও খেলেছেন একসঙ্গে। সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই একসঙ্গে। জাতীয় দলেও সেই ২০০৭ সাল থেকে। দীর্ঘ পথ চলায় একটা অন্যরকম বোঝাপড়া হয়ে গেছে। একজন আরেকজনকে চেনেন। জানেন। কার সামর্থ্য কি? কে কোথায় দুর্বল? সবই জানা। বোঝা।
খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের পারস্পরিক সমঝোতাও প্রচুর। এসব কারণেই হয়তো তাদের জুুটিটাও ভালো। অবশেষে তারা এমন এক বিশাল পার্টনারশিপ (৩৫৯ রানের) গড়ে তুললেন, যা তাদের ইতিহাসের পাতায় নাম লিপিবদ্ধ হয়ে গেল। মুশফিকও মানছেন, সাকিবের সাথে তার কেমিস্ট্রি ভালো।
আজ প্রেস মিটে একথা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই আমরা একসঙ্গে। আমাদের সমঝোতা ও বোঝাপড়া বেশ ভালো।’ সত্যিই তা-ই। সাকিব ফ্রি স্ট্রোক মেকার। শটস খেলা যার সহজাত। আর মুশফিক খেলেন রয়ে-সয়ে। বলের মেধা-গুণ বিচার করে।
আজও দু’জন প্রায় সে ধারাই অনুসরণ করেছেন। সাকিব রানের খোঁজেই ছিলেন। একটি স্কোরিং চান্সও হয়তো মিস করেননি। আলগা বল পেলেই ব্যাট ছুড়েছেন। কখনো স্কোয়ার কাট, কোন সময় ফ্ল্যাশ, কখনো আবার পুল হুক।
অন্য দিকে মুশফিকের বেশির ভাগ শট উইকেটের সামনে। কভার ড্রাইভ, অফ ও অন ড্রাইভ। সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হলে মুশফিক বলেন, ‘আমার দেখা- সাকিবের অন্যতম সেরা ইনিংস। কোনো সময় আক্রমণাত্মক মেজাজে অ্যাটাক করেছে। আবার কখনো কাউন্টার অ্যাটাকও করেছে।’
এনইউ/পিআর