‘আমার ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল’
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা গায়ে ছিল বেশ অনেক দিন। এখন অবশ্য নেই। ব্যাটে-বলে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সব সময়ের সেরা পারফরমার। গত ৭/৮ বছর ধরে টিম বাংলাদেশের প্রাণভোমরা, চালিকাশক্তি।
অনেকের চোখে মাগুড়ার এ সাহসী যুবাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সব্যসাচী ক্রিকেটারও। তিন ফরম্যাটে ব্যাট ও বলে নজরকাড়া ও ঈর্ষণীয় সাফল্যই তাকে বড় তারকার আসনে বসিয়েছে। কিন্তু গত কিছু দিন সাকিবের ব্যাটে রান নেই। বড় ইনিংস কমে গেছে। সেঞ্চুরি ছিল না দু’বছর।
সেই ২০১৫ সালের এপ্রিল-মে’তে পাকিস্তানের সাথে নিজ মাটিতে ভালো খেলা। খুলনায় ৭৬ নট আউট। আর শেরেবাংলায় ৮৯ রানের হার না মানা ইনিংস। তারপর আর সেভাবে কথা বলেনি সাকিব আল হাসানের ব্যাট। রান খরায় ভুগেছেন কিছুটা। পরের আট ইনিংসে ১৩+৯+৪৭+৩৫+ ৩১+ ২৪+১০+৪১ ইনিংসে একটি ফিফটিও ছিল না।
এই তো গত বছর অক্টোবরে ইংল্যান্ডের সাথে মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে অসাধারণ বোলিং করে দলকে অবিস্মরণীয় সাফল্য উপহার দিলেও ব্যাট হাতে খুব ভালো সময় কাটেনি সাকিবের। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুই টেস্টে রান করেছিলেন সাকুল্যে (৩১+২৪+১০+৪১) = ১০৬।
এটা গেল টেস্টের পরিসংখ্যান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের ব্যাট ঝিলিক খেলছে না কিছুদিন ধরে। শেষ ৫ ম্যাচে রান ৩, ৪, ৫৯, ৭ ও ১৮। টি-টোয়েন্টিতেও তথেবচ। সেই গত বছর ১৬ মার্চে কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরির (৫০) পর শেষ ৩৩, ২২, ২, ১৪, ১ ও ৪১।
মোদ্দাকথা, অলরাউন্ডার সাকিবকে তার মতো করে খুঁজে পাওয়া যাাচ্ছিল না। এই খুঁজে না পাওয়াটা ঠিক মাথায় ছিল তার। ‘আমি বল হাতে উৎরে গেলেও ব্যাটে তেমন কিছু করতে পারিনি- এই বোধ ও উপলব্ধিটা ভেতরে কাজ করছিল।
দল আমার ওপর অনেক খানি নির্ভর। আমি ভালো খেললে+ রান করলে দলের কাজে লাগে। এমন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে এ সিরিজের আগে।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও টেস্টে ভালো খেলতে মুখিয়ে ছিলেন। ‘যে করেই হোক আমাকে ভালো খেলতে হবে, রান করতে হবে। আমার রান করা জরুরি’- এই তাগিদটা অনুভব করেছেন। সাকিব প্রমাণ করলেন, আসলে ভালো খেলার জন্য ইচ্ছেটাই বড়।
টেস্টে তার ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ। এই উপলব্ধিটা ভেতরে কাজ করেছে। তা করেছে বলেই ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং। সাকিবের নিজের কথা- ‘আমার ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উইকেট ভালো। তবে ফ্ল্যাট না। এখানে ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারলে ব্যাটসম্যানকে ভুলের ফাঁদে ফেলা যায়। তাকে কঠিন পরীক্ষার মুখেও ঠেলে দেয়া সম্ভব। আমি চেষ্টা করেছি ভালো খেলতে।’
এনইউ/পিআর