সাকিব আল হাসানের দুরন্ত সেঞ্চুরি
নেইল ওয়েগনারকে ফাইন লেগে ঠেলে দিয়েই প্রান্ত বদল করলেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম। তার আগেউ উঠে দাঁড়িয়েছে গ্যালারি। করতালিতে অভিনন্দন জানাচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। ড্রেসিংরুমের সামনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, কোর্টনি ওয়ালশ থেকে শুরু করে দলের বাকি সব ক্রিকেটার এক সঙ্গে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন তাকে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
যার জন্য এত করতালি, তিনিই কি না নির্লিপ্ত। সেঞ্চুরি পূরনের পর কোনে উচ্ছাস নেই। শুধু এসে সতীর্থ এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দিলেন। ১৫০ বল খেলে অসাধারণ সেঞ্চুরিটি পূরনের পর নিজেকে মোটেও উচ্ছাসে ভাসিয়ে দিলেন না সাকিব আল হাসান।
সেঞ্চুরিটার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করেছেন সাকিব। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই যে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, এরপর আর তিন অংকের দেখা পাচ্ছিলেন না। এর মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও বঞ্চিত হয়েছেন। অবশেষে পেলেন কাংখিত সেঞ্চুরিটির দেখা।
এর আগে ৮৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। দুই অঙ্কের রানকে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কে নিয়ে যান সাকিব। দুই বছরেরও বেশি সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। সঞ্চুরি পূরণ করতে ১৩টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।
প্রথম দিনই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন সাকিব। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি উইকেট ছাড়েন ৫ রান নিয়ে। দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমে মুমিনুল দ্রুত আউট হয়ে গেলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে যান সাকিব।
অপরপ্রান্তেও অবশ্য তাকে যোগ্য সহযোগিতা দেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত দু’জন শতোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দারুন একটি অবস্থান এনে দেন। ৮৬ বলে নিজের ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশত পূরণ করেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে ছিল ৮টি বাউন্ডারির মার।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত ১৬৮ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাউন্ডারি মেরেছেন মোট ১৮টি।
আইএইচএস