‘২০২০ সাফে চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশের মেয়েরা’
সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ভারত গিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ফিরেছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাফল্য নিয়ে। এই প্রথম নারী সাফে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরেন সাবিনারা।
মেয়ে ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমার স্বপ্ন হলো বাংলাদেশ সাফে চ্যাম্পিয়ন হবে এবং সাফ সভাপতি হিসেবে আমি তাদের হাতে ট্রফি তুলে দেবো। এটা আমার স্বপ্ন। আমি এটা পূরণ করবো। বাংলাদেশ নারী দল রানার্সআপ হয়েছে। আমরা কিন্তু ভারতে ফাইনাল খেলতে যাইনি। কারণ, আমাদের দল হলো অনূর্ধ্ব-১৬। এখানে জনাচারেক আছে জাতীয় দলের। এ দলটি আমাদের ভবিষ্যৎ। ২০২০ সালে আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবো।’
নারী ফুটবল দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘এ মেয়েগুলো ১৬ বছরের। সিনিয়র যারা আছে ২৩/২৪ বছরের। এরা জাপানে যাচ্ছে ২৪ জানুয়ারি দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে। এ ধরনের যতকিছু আছে সবই আমরা করবো। আমি নতুন এক ট্রেনার এনেছি, জন হুইটেল। আমি তাকে বলেছি, আমরা যখন সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাই খেলবে তখন যেন মেয়েরা সবচেয়ে ফিট থাকে। এ সব জায়গাতে আমাদের দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা শুধু কোচের বেতনই খরচ হচ্ছে। মেয়েদের বলছি, তোমাদের যাত্রা কেবল শুরু হলো। রানার্সআপ, চ্যাম্পিয়ন কোনো বিষয় নয়। আমরা রানার্সআপ হবো আগামীতে। আমি ফুটবলার। আমি জানি কি করতে হবে। যা যা করার তোমাদের জন্য সব করবো।’
সেপ্টেম্বরে আরেকটি সংবর্ধনা হতে পারে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আজকে আমরা তোমাদের সংবর্ধনা দিলাম। আশা করছি- সেপ্টেম্বরে এমন আরেকটি সংবর্ধনাও হবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। তোমরা ভালো করো; আমরা যা কিছু করার- করবো।’
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বাফুফে সভাপতি মঞ্চে ডেকে আনেন নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে। তাকে নিয়ে ছবিও তোলেন বাফুফে সভাপতি। এ সময় বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘একটা কথা না বলে পারলাম না। নারী দলের অধিনায়ক ও আমার একটা জায়গায় মিল আছে। আমরা দুই জনই প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল লিগ খেলেছি।’
নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে, সালাউদ্দিন স্যারের মতো একজন সভাপতি পেয়েছি। সাফে আমরা ডেথ গ্রুপে ছিলাম। আমাদের গ্রুপে ছিল আফগানিস্তান ও ভারত। চেষ্টা করেছি শতভাগ দিয়ে খেলতে। আমাদের লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল। আমাদের আত্মবিশ্বাসে ফাইনাল খেলেছি। এটা অনেক পাওয়া। দেশবাসীর দোয়া ছিল আমাদের সঙ্গে। আমাদের কোচরা সব সময়ই বলেন, যতটুকু পারবো তার চেয়ে কম বলার। তারা যেভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, তা সবাইকে দিয়ে সম্ভব না।’
আরআই/এনইউ/এমএস