ওয়েলিংটনের কন্ডিশন নিউজিল্যান্ডের কাছেও কঠিন!
নিউজিল্যান্ড, একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। তাসমান সাগরের মধ্যে তার অবস্থান। ক্রাইস্টচার্চ, নেপিয়ার, নেলসন, মাউন্ট মঙ্গানুই কিংবা ওয়েলিংটন- সব শহরেই প্রায় একই অবস্থা। শহরগুলোর চারদিকে পাহাড় ও সমুদ্র। সঙ্গত কারণেই বাতাসের বেগ অনেক বেশি।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়েলিংটন তো আরো এক ধাপ এগিয়ে। প্রচণ্ড বাতাস বইছে। শীতে জবুথবু হওয়ার পালা। এই শহরকে তো আবার এ দেশের সবচেয়ে ‘উইন্ডি’ সিটিও বলা হয়। নামের সঙ্গে কাজের মিল ব্যাপক।
আজ সকাল থেকেই যেমন ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে শোঁ শোঁ বাতাসের সঙ্গে ছিল কনকনে হিম ঠাণ্ডা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এখানে ভর দুপুরে বৃষ্টি। আর সেই বেরসিক বৃষ্টি বাগড়ায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের পুরো ওভার মাঠে গড়ায়নি। গড়িয়েছে ‘মাত্র’ ৪০.২ ওভার। দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
বোঝাই যাচ্ছে, ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভের কন্ডিশন খুব কঠিন। তামিম ইকবাল যেমন জানিয়েছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। এমন বাতাসে কখনো খেলেননি। কখনো কখনো মাঠে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল দুরূহ। কয়েকবার থমকেও দাঁড়িয়েছেন। এমন পরিবেশ টাইগারদের কাছে একদমই নতুন।
তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলরা যখন ব্যাট করছিলেন, কিউই বোলারদের পাশাপাশি বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। এই পরিস্থিতে তামিমের ফিফটি (৫৬), মুমিনুল হকের ফিফটি (৬৪) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৬ রানে ভর করে বাংলাদেশের পুুঁজি ১৫৪ রান, মন্দ কিসে!
সফরকারী হিসেবে বাংলাদেশ লড়াই করবে কন্ডিশনের সঙ্গে, এটাই স্বাভাবিক! তবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এই কন্ডিশনে স্বাচ্ছন্দে খেলেছে? প্রশ্ন থেকেই যায়। উত্তর- নাহ, স্বস্তিতে ছিল না কিউইরা। কন্ডিশনের সঙ্গে লড়াইটা করতে হয়েছে রীতিমতো।
কিউই ফাস্ট বোলার নেইল ওয়েগনার যেমন বললেন, ‘যখন আমরা সঠিক ভালো জায়গায় বল করছিলাম, তখন ফলটাও ভালো পাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝড়ো বাতাস এলোমেলো করে দিয়েছে সবকিছু, কঠিন করে দিয়েছে কন্ডিশনকে। আমি মনে করি, দুই দলের জন্যই এটা কঠিন ছিল। বেশ কয়েকবার আমরা থমকে দাঁড়িয়েছি।’
এনইউ/এমএস