‘তাসকিনের অভিষেকের শ্রেষ্ঠ জায়গা এটি’
টেস্ট খেলার স্বপ্ন তার বহুদিনের। ফিটনেস ঠিক থাকলে আর ইনজুরি বার বার ছোবল না দিলে হয়তো আগেই টেস্ট ক্যাপ মাথায় পড়ে ফেলতেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তা আর হলো কই ? তার সমবয়সী ও সমসাময়ীক প্রায় সবাই টেস্ট খেললেও এখন পর্যন্ত অভিষেকই হয়নি তাসকিনের। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই তাসকিনের দেখা দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্নটা সত্যি হতে চলেছে! লাল-সবুজ জার্সির পর এবার জাতীয় দলের সাদা জার্সিতেও অভিষেক হতে চলেছে প্রতিভাবান এই পেসারের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুশফকি বলনে, `আমার মনে হয় তাসকিনের অভিষেকের শ্রেষ্ঠ জায়গা এটি। নিউজিল্যান্ডের উইকেট এমনিতেই গতিময়, পেসারদের স্বর্গ। আর এখানে তাসকিন নিজের প্রতিভা মেলে ধরতে পারবেন।`
কিন্তু কঠিন সত্য হলো বেসিন রিজার্ভের পিচ যতই ফাষ্ট বোলার ফ্রেন্ডলি হোক না কেন, তাসকিন কি সেখানে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন ? তারতো দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের সঙ্গেই যোগাযোগ অনেক কম। সব মিলে সাকুল্যে মাত্র ১০ টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এত কম ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট অভিষেক, তাও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের বিরুদ্ধে। যারা নিজেদের মাটিতে যারপরনাই শক্তিশালী। এত স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে তাসকিন কতটা কুলিয়ে উঠতে পারবেন?
তাসকিনের মতে, বিশ্বের সব বোলার বা ক্রিকেটারেরই একদিন না একদিন অভিষেক হয়। তার আগে সবাই কম বেশি অনভিজ্ঞ থাকে। মানছি আমরা অভিজ্ঞ নই। অনভিজ্ঞ। তবে আনাড়ি নই। আমাদেরও সামর্থ্য আছে। আমাদের কোচিং স্টাফরাও অনেক সাহায্য করছেন। প্রয়োজনীয় বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছেন। জানি উইকেটে গতি-বাউন্সের পাশাপাশি মুভমেন্ট থাকবে। সুইং হবে। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা অতি মাত্রায় আক্রমণাত্মক হওয়া চলবে না। উইকেটে ঘাস আছে মানেই যে কোনো লাইন ও লেন্থে বল করলেই সফল হবো এমন নয়। বাতাস যেদিকে টানবে, সেদিকে সুইং করানো সহজ। সে চেষ্টাই থাকবে।`
এমআর/পিআর