ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘ধোনির ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি’

প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৭

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চাপ দেয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠছে এখন ভারতজুড়ে। চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই নাকি নেতৃত্ব থেকে সরে গেলেন ভারতের সবচেয়ে সফলতম এই অধিনায়ক। বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আদিত্য ভার্মা সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন যুগ্ম সচিব অমিতাভ চৌধুরির দিকে। শুধু তাই নয়, অভিযোগের তালিকায় উঠে এসেছে নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদের নামও।

এমন অভিযোগে যখন টালমাটাল ভারতের ক্রিকেট, তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রাসাদ সরাসরি অস্বীকার করেছেন এই অভিযোগ। তিনি বলেন, কোনোভাবেই ধোনির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। অভিযোগের জবাব দিয়ে প্রাসাদ বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য ধোনির উপর কোনও চাপ ছিল না। এটা ওর একান্ত ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। ও আমাকে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের দিনই জানিয়েছিল। ঝাড়খণ্ড-গুজরাট ম্যাচে।’

হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে সবধরনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তার পরিবর্তে নেতৃত্ব উঠেছে বিরাট কোহালির হাতে; কিন্তু এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এভাবে হঠাৎ তার অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে।

১৯৯টি একদিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ধোনি দাড়িয়েছিলেন ২০০তম ম্যাচের সামনে। আর কিছুদিন পরেই ঘরের মাঠে শুরু হতে চলেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ। তার আগে এভাবে সরে যাওয়ায় প্রশ্ন এমনিতেই উঠছিল। সেই আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মতকাজ করেছে আদিত্য ভার্মার মন্তব্য।

প্রধান নির্বাচক প্রসাদ বলেন, ‘ধোনি একজন সৎ মানুষ। আর এই সিদ্ধান্তটা অবাক হওয়ার মতো নয়। এটা একদম সঠিক সময় যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কোহলি অনেকটা সময় পাবে নিজেকে উপযুক্ত করে নেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধোনিকে অসংখ্য ধন্যবাদ ওর অবদানের জন্য। কিন্তু ওর কাজ এখনই শেষ হচ্ছে না। বিরাটের পাশে থাকতে হবে।’

ধোনির নেতৃত্বে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। টি২০ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাশাপাশি এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০০৯ সালে ভারতকে টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে তুলেছিলেন তিনিই। যেটা আবার ফিরে এসেছে বিরাট কোহালির হাত ধরে। শুধু অধিনায়কত্ব নয় ব্যাট হাতেও রান করেছেন যা দেশের কাজে লেগেছে।

২৮৩টি ম্যাচে ধোনির রান ৯১১০, গড় ৫০.৮৯। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮৩। এখন প্লেয়ার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবেন কি না সেটা সময়ই বলবে।

আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন