শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ
শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ সাব্বির-সৌম্যের ব্যাটে চাপ কাটিয়ে শতরান পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে দলীয় শতরানের পর বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি দীর্ঘদিন পর রানের দেখা পাওয়া সৌম্য। ব্যক্তিগত ৩৯ রান করে বোল্টের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান। সাব্বির ৪২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
এর আগে কিউইদের দেওয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দর্শকরা তাকিয়ে ছিল টাইগার দুই ওপেনারের দিকে। তবে আজও হাতশ করেন দুইজনই। ব্যক্তিগত ০ রানে ইমরুলের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না টাইগারদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিমও (১৩)। সাব্বিরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারত দিয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। এরপর সাকিব ১ রান করে সাজঘরে ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই লুক রনকিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিলেন মাশরাফি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্টে মোসাদ্দেককে সহজ ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ০ রানে সাজঘরে ফিরে যান কিউই এই ব্যাটসম্যান।
এরপর নিজের প্রথম ওভারেই আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক উইলিয়ামসনকে ব্যক্তিগত ১২ রানে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজধরে ফেরান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার সাকিব। সাকিবের পর নিজের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ব্রুসকে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়া নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন মানরো। দুইজন মিলে ৪র্থ জুটিতে গড়েন ১২৩ রানের পার্টনারশিপ। মানরোর ৭২ ও ব্রুসের ৪৮ রানের সুবাদে ৪র্থ উইকেট জুটিতে এই শতরানের পার্টনারশিপ আসে। মানরো তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক। ৫২ বলে শতরানের পাশাপাশি ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া ব্রুস ৫৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। টাইগারদের পক্ষে রুবেল নেন ৩ উইকেট।
এমআর/এমএস