প্রথম ম্যাচের ১১ জন খেলবেন দ্বিতীয় ম্যাচেও
কোন ১১ জন কাল খেলছেন? প্র্যাকটিসের ধরন দেখে বোঝার উপায় নেই। কারণ আজ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের ‘বে ওভালে’ ওয়ানডে স্কোয়াডের ১৫ জনই ব্যাটিং করলেন। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, প্রথম ম্যাচের দলই অপরিবর্তিত থাকছে। নেপিয়ারে যে ১১ জন খেলেছিল, আগামীকাল তারাই খেলবে।
তার মানে, আবার সেই আট ব্যাটসম্যান ফর্মুলা। তামিম, ইমরুল, সাব্বির, সাকিব, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক ও নুরুল হাসান সোহান। সাথে তিন পেসার মাশরাফি, মোস্তাফিজ ও রুবেল হোসেন। একমাত্র স্পেশালিস্ট স্পিনার সাকিব। তিন পেসার আর সাকিব মিলে ১৬ ওভার হলো। আর ৪ ওভার করবেন কে? সেটাও আগের ম্যাচের মতো সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেককে দিয়ে পূরণ করা হবে।
সৌম্য সরকারকে নিয়ে সমালোচকদের কটাক্ষ ও বিদ্রুপ অব্যাহত থাকলেও অধিনায়ক ও কোচের মনে এখনো এ তরুণের ফ্রি স্ট্রোক প্লে-র ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। মাশরাফি সব সময় বলে আসছেন, সৌম্য মেধাবী ব্যাটসম্যান। তার শটস খেলার সামর্থ্যটা সহজাত।
এই তরুণের ব্যাট যেদিন জ্বলে উঠবে সেদিন বাংলাদেশ থাকবে চালকের আসনে। কাজেই আজও এ বাঁ-হাতি টপ-অর্ডারে আস্থা রাখতে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আজও সৌম্য খেলবেন এবং সম্ভবত তাকে পাঁচ নম্বরে খেলানো হবে। ছয় নম্বর পজিশনটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্যই রাখা আছে।
অধিনায়ক মাশরাফির কাছে প্রশ্ন ছিল, আচ্ছা, শুরুতে অল্প সময় ও সংগ্রহে উইকেট পড়ে যাচ্ছে। টপ-অর্ডারে ইমরুল ছাড়া সে অর্থে একদিক আগলে রাখার কেউ নেই। সে কারণে কি সাব্বিরের বদলে মাহমুদউল্লাহকে ওপরে মানে তিন নম্বরে খেলানোর সম্ভাবনা আছে? মাশরাফির ব্যাখ্যা- ‘নাহ, নেই। মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডেতে চারে খেলে সফল। একইভাবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাহমুদউল্লাহর যতোগুলো ভালো ইনিংস, সবই ছয় নম্বরে। কাজেই আমরা ব্যাটিং অর্ডারে কোনো ধরনের পরিবর্তন করার কথা ভাবছি না।’
এনইউ/এমএস