ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ধোনি
১৫ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে বাজ পড়ার মত খবর, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
তবে খেলা এখনই ছাড়ছেন না। বরং, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়ে দিয়েছে, ইংল্যান্ড সিরিজে তিনি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকবেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে এ খবর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে স্কোয়াড বাছাই করার জন্য নির্বাচকদের মিটিং আগামী ৬ই জানুয়ারি। এরই মধ্যে হয়তো নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করবে বিসিসিআই। যদিও তারা নাম ঘোষণা না করে থাকুক, তবে এটা বোঝাই যাচ্ছে যে টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাঁধেই বর্তাতে যাচ্ছে এই দুই ফরম্যাটের নেতৃত্বভারও।
৩৫ বছর বয়সী ধোনি তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগেই নাগপুরে প্রধান নির্বাচক মান্নাভ শ্রীকান্ত প্রাসাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই সময় রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল চলছিল। চা বিরতির সময় দেখা গেছে, প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে অনেকক্ষণ আলোচনা করছেন ধোনি।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ধোনি। শুধু তাই নয়, মেলবোর্ণ টেস্টের পরই টেস্ট ক্রিকেটের থেকে বিদায় নিয়ে নেন তিনি। এরপরও আরও প্রায় দুই বছর তিনি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে থেকে যান।
২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বে আসে ভারতের টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দল। এরপর টেস্ট নেতৃত্বও চলে আসে তার কাছে। ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ধোনিই। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতকে উপহার দেন তিনি।
তার নেতৃত্বে ১৯৯টি ওয়ানডে খেলেছে ভারত। এর মধ্যে জিতেছেন ১১০টি এবং হেরেছে ৭৪টিতে। ৭২টি টি-টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ৪১টি টি-টোয়েন্টি, হেরেছে ২৮টিতে। আবার সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কও তিনি। তার নেতৃত্বে ভারত জিতেছে ২৭টি টেস্ট জয়, হার ১৮ এবং ড্র রয়েছে ১৫টিতে।
আইএইচএস