সাবিনা-স্বপ্নাদের দিকে তাকিয়ে দেশ
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতার রেকর্ড গড়েছে পুরুষ ফুটবল দল। সর্বশেষ ৩ আসরে বাংলাদেশ পায়নি সেমিফাইনালের নাগাল। তিনবারই বিদায় গ্রুপ পর্ব থেকে। পুরুষদের সেই ব্যর্থতা ঢাকার দায়িত্ব যেন নারী ফুটবলারদের কাঁধে।
বাংলাদেশ ফুটবলের পতাকাটা এখন উঁচিয়ে ধরে আছে সাবিনা-স্বপ্নারা। পুরুষ দল যেখানে গ্রুপ পর্বেই খাবি খায়, সেখানে মহিলারা খেলছে সাফের ফাইনাল। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের যে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ তা ফিরে আসবে নারী ফুটবলারদের নৈপুণ্যে-এমন প্রত্যাশায় বুক বেধে আছে দেশের মানুষ। সবাই তাকিয়ে সাবিনা আর স্বপ্নাদের দিকে। বুধবার ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে চতুর্থ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন আসরের দুটিতে সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। দুইবার বাংলাদেশকে বিদায় করেছে নেপাল। এবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ সেমিফাইনালে পেয়েছিল মালদ্বীপকে। দ্বীপ দেশটির জালে গুণে গুণে ৬ গোল দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা জায়গা করে নিয়েছেন ফাইনাল মঞ্চে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশের চোখ এখন ট্রফিতে। যদিও কাজটি কঠিন-প্রতিপক্ষ যে আগের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
তবে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের চিত্রটা এখন অন্যরকম। এক সময়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই হেরে বসে থাকতো। লক্ষ্য থাকতো যত কম গোল খাওয়া যায়। সেই ভারতকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে শিখেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। যে দেশটির নারী ফুটবলের ঐহিত্য ও ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। দেশটি এ পর্যন্ত ৯ বার এশিয়ান কাপ খেলে ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ সালে রানার্সআপ হয়েছে। নারী ফুটবলের ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ৫৪, বাংলাদেশ ১২১।
ঐতিহ্যে যোজন-যোজন মাইল এগিয়ে থাকা ভারত যে শক্তিতে সে অবস্থায় নেই তার ছবি ফুটে উঠেছে এই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বেই। প্রথমবারের মতো ভারতের বিপেক্ষ হার এড়িয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র চ্যাম্পিয়ন হতে সাহস যোগাচ্ছে সাবিনা-স্বপ্নাদের। শিলিগুড়ির বুধবারের সন্ধ্যাটা বাংলাদেশের হলেই নতুন উচ্চতায় উঠবে দেশের নারী ফুটবল।
আরআই/এনইউ/আইএইচএস