বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৬ রান
সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারেই। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি নিছক নিয়মরক্ষার হলেও মাশরাফিদের জন্য ছিল মুখরক্ষারও। আর তা করতে গিয়ে শুরুটাও পেয়েছিল দুর্দান্ত। ২১.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১০২ রান। তবে এরপর হঠাৎই বদলে যায় দৃশ্যপট। আউট হওয়ার মিছিলে যোগ দেন ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
শনিবার নেলসনের সেক্সটন ওভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় টাইগাররা। ১০২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে আউট হন ইমরুল। মূলত নেইল ব্রুমের অতিমানবীয় ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। শর্ট থার্ডম্যানে প্রায় ১০ গজ পিছনের দিকে দৌড়ে ঝাপিয়ে পড়ে এক হাতে ক্যাচ লুফে নেন ব্রুম।
ইমরুলের বিদায়ের পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল। এক একে ফিরে যান সাব্বির, মাহমুদউল্লাহ, তামিম, সাকিব, মোসাদ্দেক ও তানবীর। মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিনা উইকেটে ১০২ রানে থাকা বাংলাদেশের রান হয় ৭ উইকেটে ১৭৯ রান।
তবে অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলের রান দুইশত পার করেন নুরুল হাসান সোহান। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে ৩৯ বলে ৪৪ রানের দারুণ কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
তবে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তামিম। ৮৮ বল মোকাবেলা করে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬২ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করেন ইমরুল।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন সান্টনার। এছাড়া সাউদি, প্যাটেল, হেনরি, নিশাম ও উইলিয়ামসন ১টি করে উইকেট নেন।
এআরবি/আরটি/এএইচ