ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ডে জুমার নামাজের ইমামতি করলেন মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশিত: ০৪:৩৯ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডের আগে মাত্র একদিন বিরতি। তাও দিনটি শুক্রবার। জুমার দিন। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই ধার্মিক। নামাজ খুব কমই মিস করেন। জুমার নামজ তো মিস করার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং, বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই গেলেন স্থানীয় এক মসজিতে জুমার নামাজ পড়তে।

Babu-vaiঅভাবনীয় কাণ্ডটা ঘটলো সেখানেই। মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক নিজে উপস্থিত ছিলেন সেখানে। কাকতালীয়ভাবে স্থানীয় সেই মসজিদের ইমাম ছিলেন অনুপস্থিত। গুঞ্জন শুরু হলো, তাহলে কে করবেন ইমামতি? এ সময় মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি, যাকে দেখে মনে হলো ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানি হবেন, তিনি বললেন, ‘আপনাদের মধ্য থেকে কী কেউ ইমামতি করতে পারবেন?’

এ কথা শুনে মাহমুদউল্লাহ বললেন, জুমার নামাজ পরিচালনার নিয়মকানুন জানা আছে আমার। তবে খুতবা কোথায় পাবো? তখন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ এবং তামিম ইকবাল মিলে বসে গেলেন গুগলে খোঁজাখুঁজি করতে। মোবাইলে বসেই গুগল খুঁজে তারা দু’জন বের করে ফেললেন জুমার নামাজের দুই খুতবা এবং সেটা ডাউনলোডও করে ফেললেন।

এরপর মোবাইল হাতেই মেহরাবে দাঁড়িয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোবাইলে রেখেই আরবিতে দুই খুতবা পাঠ করলেন তিনি। সবশেষে নেলসনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজের ইমামতি করলেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ দক্ষতায় খুতবাসহ পুরো জুমার নামাজ আদায় হলো বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ইমামতিতে।

braverdrink

বাংলাদেশ দলের টিম হোটেল ট্রেইলওয়েজের খুব কাছেই অবস্থিত সেই মসজিদটি। স্থানীয় মুসলিমদের জন্য নির্মিত মসজিদটিতে অবশ্য খুব বেশি মুসল্লি ছিলও না। বাংলাদেশ দলের ১৫ থেকে ১৬জন ক্রিকেটার, সাংবাদিকদের মধ্যে সিরিজ কাভার করতে বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যাওয়া জাগো নিউজের আরিফুর রহমান বাবু এবং স্থানীয় প্রায় ১৮ থেকে ২০জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

ওই মসজিদে মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জুমার নামাজের সময়ও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন নারী মুসল্লি। যখন নামাজের জন্য দাঁড়াচ্ছিল সবাই, তখন মাশরাফি বললেন , এই কেউ মোতাওয়াল্লির কাজটা করে দে। পাশের রুমে মহিলারা আছে। তখন এক প্রবাসী বাঙালি মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের ইমরুল, সাব্বির, মোসাদ্দেক যাননি নামাজ পড়তে। আর ভিন্ন ধর্মের হওয়ার শুভাশিস রায় তো প্রশ্নই আসে না সেখানে যাওয়ার। বাকি সবাই ছিলেন জুমার নামাজে উপস্থিত।

এআরবি/আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন