‘মোস্তাফিজকে সাসেক্সে পাঠানো ছিল ভুল সিদ্ধান্ত, তদন্ত হওয়া উচিৎ’
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্টেই প্রথম সেঞ্চুরি করা আমিনুল ইসলাম বুলবুল। একে শুধু ভুল সিদ্ধান্ত বলেননি, কেন, কী কারণে ঝুঁকি নিয়ে মোস্তাফিজকে সাসেক্সের হয়ে খেলতে পাঠানো হলো, তার তদন্ত হওয়া উচিৎ বলেও দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ উপলক্ষে জাগো নিউজে নিয়মিত কলাম লিখছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এবং সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। নেলসনে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচের আগে যে কলাম তিনি লিখেছেন, সেখানেই মোস্তাফিজের ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে গিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
বুলবুলের পরিস্কার বক্তব্য, ‘এই রকম একটা প্রতিভাবান ক্রিকেটার যেহেতু আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন, যেহেতু সে বাংলাদেশে জন্মেছে, সেহেতু আমাদের উচিৎ তাকে সেভাবে দেখে-শুনে রাখা। তার পরিচর্যা করা। আমরা যেন তাকে বেশি ব্যবহার করতে গিয়ে নষ্ট না করে ফেলি।’
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগেই জাগো নিউজে বুলবুল তার আরেকটি কলামে লিখেছিলেন, ‘২০০১ সালে মাশরাফির ক্ষেত্রে যে ভুল করা হয়েছিল, সেই ভুল যেন আমরা মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে না করি।’ তারপরও ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ম্যাচে খেলানো হয়েছে মোস্তাফিজকে। এরপর তার ম্যাচ ফিটনেস ঠিক না থাকায় সিদ্ধান্ত নেয়া হলো দ্বিতীয় ম্যাচে খেলানো হবে না।
এসব বিষয়ে লিখতে গিয়ে বুলবুল মন্তব্য করেন, ‘আমরা যে জোর করে তাকে সাসেক্সে পাঠিয়েছিলাম, তার খেসারত আজকে এবং এখনও পর্যন্ত দিচ্ছি আমরা। কোনো কারণ ছাড়াই আমরা তাকে সাসেক্সে পাঠিয়েছিলাম এবং সেই ইনজুরিটা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সে। এ কারণে শুধু মোস্তাফিজই নয়, পুরো বাংলাদেশই ক্ষতিগ্রস্থ হলো, যেটা এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।’
এরপরই বুলবুল লেখেন, ‘সাসেক্সে মোস্তাফিজকে পাঠানো ছিল একটা ভুল সিদ্ধান্ত এবং কেন, কী কারণে তাকে সাসেক্সে পাঠানো হলো- সেটার একটা তদন্ত হওয়া উচিৎ।’
কী ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোস্তাফিজকে ফিট করে তুলতে হবে তার ফর্মুলাও দিয়েছেন তিনি, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি জানি, এতবড় ইনজুরিতে থেকে ফিরে আসতে হলে তাকে কী পূনর্বাসনের মাধ্যমে যেতে হবে। প্রথমে তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছোট ছোট স্পেল করিয়ে করিয়ে বড় ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি করা প্রয়োজন। অথচ আমরা সরাসরি একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়ে তাকে যে শুরুটা করালাম, আমি জানি না সে কতুটু ফিট হয়ে পরবর্তী ম্যাচগুলো খেলতে পারবে। প্রথম ম্যাচে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছিল, সে শতভাগ ফিট নয়। ঢাকায় বসে জানতে পারলাম, দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে আর খেলানোর ঝুঁকি নেয়া হচ্ছে না। আমি আশা করি, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেয় এবং এই ইনজুরিটা যেন দীর্ঘ ইনজুরি না হয়।’
আইএইচএস/এমএস