আশরাফুলের মাথায় আরেকটি চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট
ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেটেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে আরও পৌনে ২ বছর। অথ্যাৎ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে আবার ঘরোয়া ক্রিকেটের ঝামেলাও নেই। সুতরাং, এই ফাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলে সময় কাটাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
মঙ্গলবার তিনি খেলতে গেলেন সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লিগের (এসপিএল) ফাইনাল। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার, সদ্য বিপিএল জয়ী ঢাকা ডায়নামাইটসের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তাদের প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন জাতীয় দলের আরেক তারকা সোহাগ গাজী।
জাতীয় দলের সাবেক এবং বর্তমান দুই তারকা আশরাফুল আর নাসিরের অসাধারণ নৈপুন্যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এসপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। ৫১ রানে তারা হারিয়েছে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংসকে। ব্যাটে বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৪৩ রান করার পাশাপাশি মাত্র ১৫ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। মাত্র একদিন আগেই মিরপুরে সেঞ্চুরি করে আসার পর দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ট এই সেঞ্চুরিয়ান।
মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিরাজগঞ্জ টাইগার্সের অধিনায়ক মিলন। মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে দলটি।
৫৩ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন আশরাফুল। তার সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নাসিরের ব্যাট থেকে। ৪৪ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ফাইটিং স্কোর গড়ে দেন রকি। সুপার কিংসের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সুমন ও তৌহিদ।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটি ৩ ওভারে ২২ রান করেন। চতুর্থ ওভারেই ব্রেক-থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। মূলতঃ আশরাফুল-নাসিরদের বোলিং তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি সুপার কিংসের কোন ব্যাটসম্যান।
কিংসদের পক্ষে জুয়েল ২৫ বলে ১৫, মিলন ১২ বলে ১৫ ও সাকিল ১৩ বলে ১২ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে সুপার কিংস।
ব্যাট হাতে অসাধারন পারফরম্যান্স করা আশরাফুল ছিলেন বল হাতেও দুর্দান্ত পারফরমার। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়াও স্থানীয় বোলার সাকিব ১৪ রানে নেয় ২ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ আশরাফুলই। এবং সিরিজ সেরা হন সিরাজগঞ্জ স্টারের খেলোয়ার মনিরুজ্জামান লিটন।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গাজী শফিকুল ইসলাম শফি।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আইএইচএস/এমএস