অধিনায়ক সাকিবের স্বপ্ন পূরণ
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে জিতে নিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার গাড়ি। তৃতীয় আসরেও ধরে রেখেছিলেন নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। তবে চতুর্থ আসরে মজা করে আগেই বলেছিলেন এবার তো গাড়ি নেই তাই নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছি না। তবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে না ভাবলেও লক্ষ্যের কথা জানাতে ভুলেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আর ফাইনালে রাজশাহীকে হারিয়ে বিপিএলের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে নিজের সেই স্বপ্ন পূরণও করেছেন সাকিব।
পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের লক্ষ্যের কথাটা আরেকবার উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘শুরুতেই বলেছিলাম, এবার লক্ষ্য ছিল একটাই। তাতে সফল হতে পেরেছি। এটা অনেক বড় ব্যাপার। ব্যক্তিগত দিক থেকেও তো আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো পুরো দল ঐক্যবদ্ধ থাকায় শিরোপা জিততে বেগ পেতে হয়নি আমাদের।
ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল, এরভিন লুইসের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনদের নিয়ে দল হিসেবে বিপিএলের শুরু থেকেই কাগজে-কলমে সেরা ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। আর সাকিবের মতে, আপনি যখন সেরা দল নিয়ে খেলবেন তখন চাপটা একটু বেশিই থাকবে। তারপরও দল হিসেবে কেমন করছেন এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পেরেছি। আমাদের দলের সব থেকে বড় ও ইতিবাচক দিক ছিল, সবার পারফরম্যান্স করার ইচ্ছা পোষণ করা।
চলতি আসরে সাকিবের নেতৃত্বে নানা চমক দেখা গেছে। এত তারকা থাকার পরও কোন তারকাকে মাঠে নামাবেন, মাঠে তাদের কীভাবে সামলাবেন এসব নিয়ে সাকিবের ওপর চাপ ছিল মাত্রাতিরিক্ত। তবে সেসব চাপ খুব ভালো ভাবেই সামলে ফাইনালে তার বিচক্ষণ অধিনায়কত্ব দিয়ে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন।
এদিকে শিরোপা জয়ে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাকিব আরও বলেন, ‘আমরা কাজটা সুজন ভাই ও সিনিয়র ক্রিকেটাররা সহজ করে দিয়েছে। সুজন ভাই মাঠের বাইরের দায়িত্বটা দেখত, আমি মাঠের ভেতরের দায়িত্বটা দেখতাম। মাঠের ভেতরে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
এমআর/আরআইপি