খুলনাকে উড়িয়ে ফাইনালে রাজশাহী
ব্যাট হাতে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন সাব্বির রহমান। একদম ঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট খ্যাত এই ক্রিকেটার। রাজশাহী কিংসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে খেলেছেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস। ৫২ বলে দুটি চার ও ১ ছক্কায় হার না মানা ৪৩ রান এসেছে তার ব্যাট হাতে। আর বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন ৩ উইকেট শিকারি সামিত প্যাটেল।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আজ বুধবার সাব্বির-সামিত নৈপুণ্যে খুলনা টাইটান্সকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে রাজশাহী। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা। জবাবে ১৯.২ ওভার খেলেই (৪ বল হাতে রেখে) ৩ উইকেট খুইয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায় রাজশাহী। শুক্রবার ফাইনালের লড়াইয়ে ড্যারেন স্যামির প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস।
এদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলের স্কোরশিটে ৫ রান যোগ হতেই মুমিনুল হকের (২) উইকেটটি হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। ক্যাভিন কুপারের বলে আব্দুল মজিদের হাতে ক্যাচ তুলেন দেন মুমিনুল। নুরুল হাসান সোহানের ব্যক্তিগত ইনিংস থামে ১২ রানে। তিনি শিকার মোশাররফ হোসেন রুবেলের।
তিনে ব্যাট করতে নামেন আফিফ হোসেন। দলের বিপর্যয়ের কাটিয়ে ওঠার মতোই এক ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানের (৪৩*) সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন আফিফ। তিনি করেন ২৭ বলে ৩টি চারে ২৬ রান। জেমস ফ্রাঙ্কলিন ২২ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। কিউই এই অলাউন্ডারের ছক্কায়ই ফাইনাল নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। খুলনার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ, কেভিন কুপার ও মোশাররফ হোসেন রুবেল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানের মাথায় হাসানুজ্জামানের উইকেট খুইয়ে বসে খুলনা। আব্দুল মজিদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউটে কাটা পড়েন ১ রান করা হাসানুজ্জামান। মজিদও সাজঘরে ফিরলেন সেই রানআউটের শিকার হয়ে। ১১ রান আসে মজিদের ব্যাট থেকে।
শুভাগত হোমও এদিন পারলেন না নামের প্রতি সুবিচার করতে। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করতেই ফরহাদ রেজার বলে নাজমুল ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। নিকোলাস পুরানকে (২২) প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ১৭ বছর বয়সী আফিফ হোসেন। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না। ২৮ বলে দুটি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেই সামিত প্যাটেলের শিকার খুলনা অধিনায়ক। বেনি হাওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
শেষ দিকে লড়েছেন আরিফুল হক। ২৯ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় হার না মানা ৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যা খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। খুলনার আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান জুনায়েদ খান (১)। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সামিত প্যাটেল। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা, আফিফ হোসেন, কেসরিক উইলিয়ামস ও ড্যারেন স্যামি।
এনইউ/আরআইপি