তামিম-গেইলদের বিদায় করে দিলো রাজশাহী
১৪৩ রানের লক্ষ্য। ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী কিংস। দলের স্কোরশিটে ৫৭ জমা হতেই ৬ উইকেট নেই তাদের। কে ধরবেন দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া রাজশাহীর? কারণ এই ম্যাচে হারলেই তো বিদায়। হাল ধরার কঠিন দায়িত্বটা নিজ কাঁধেই তুলে নিলেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। দলকে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকেই। ২৭ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় হার না মানা ৫৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবিয়ান।
স্যামি ঝড়ে শেষ পর্যন্ত উড়ে গেল টিচাগাং ভাইকিংস। বিপিএলের এলিমিটর ম্যাচে আজ মঙ্গলবার চিটাগাংকে ৩ উইকেটে পরাজিত করেছে রাজশাহী। আর তাতে তামিম-গেইলদের বিদায় করে ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেলেন স্যামি-সাব্বির-মিরাজরা।
ফাইনালে উঠতে রাজশাহীকে আরো একটি বাধা পেরুতে হবে। আগামীকাল বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ আজকের (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচ তথা প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকা ডায়নামাইটস ও খুলনা টাইটান্সের মধ্যকার পরাজিত দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তোলে চিটাগাং। জবাবে ১৮.৩ ওভারে (৯ বল হাতে রেখেই) ৭ উইকেট খুইয়ে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায় রাজশাহী কিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা রাজশাহীর পক্ষে ড্যারেন স্যামির ৫৫ রানের ইনিংসটাই সর্বোচ্চ। দলের বিপর্যয়ের মুখে ‘অবিচল’ থাকা নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান। সবশেষে স্যামিকে যোগ্য সঙ্গ দেয়া ফরহাদ রেজা অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে।
অষ্টম উইকেটে ফরহাদ-স্যামির ৪৯ রানের জুটি ও সপ্তম উইকেটে মিরাজ-স্যামির ৩৭ রানের পার্টনারশিপই মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। রানআউটে কাটা পড়া মিরাজ করেছেন ১০ রান। আর সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান। বাকিরা পারেননি দুই অঙ্ক ছুঁতে।
চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শুভাশিষ রায় ও সাকলাইন সজিব। একটি করে উইকেট পকেটে পুরেছেন আব্দুর রাজ্জাক রাজ ও মোহাম্মদ নবি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্মিথকে হারায় চিটাগাং। দলীয় ৮ রানে ব্যক্তিগত কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটসম্যান। এরপর ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন তামিম-গেইল। মাত্র ৩০ বলে ৫ ছয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটিং দানব।
গেইল বিদায় নিলেও দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। আউট হবার আগে ৪৬ বল মোকাবেলা করে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি। চলতি আসরে এটা তামিমের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। যা বিপিএলের এক আসরে কোনো ব্যাটসম্যানদের সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডও। শেষ দিকে শোয়েব মালিক-নবিরা হতাশ করলে ১৪২ এ থামে চিটাগাংয়ের ইনিংস।
এনইউ/এমএস