চিটাগাংকে হারিয়ে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো রাজশাহী
পয়েন্ট টেবিলে যে অবস্থান, তাতে এখনই রাজশাহীকে প্লে-অফে চলে গেছে- লিখে দেয়া যেতো; কিন্তু তাদেরকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগামীকালের ঢাকা-খুলনা এবং কুমিল্লা-রংপুরের ম্যাচ পর্যন্ত। শেষ দুই ম্যাচেই নির্ধারণ হবে, ঢাকার সঙ্গে কোন তিনটি দল উঠছে শেষ চারে।
একেবারে আনকোরা, তরুন স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঘূর্ণি বিষে নীল হয়ে চিটাগাং থেমে গিয়েছিল মাত্র ১১১ রানে। জবাব দিতে নেমে রাজশাহী কিংস ৩৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে বিশাল এক জয় তুলে নিয়েছে। রাজশাহীর হয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জেমস ফ্রাঙ্কলিন খেলেন ২৭ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত এক ঝড়ো ইনিংস।
আফিফের পর ফ্রাঙ্কলিন -এই দুই দেশি এবং বিদেশি ক্রিকেটারের যুগল সাফল্যেই রাজশাহীর সামনে শেষ চারে যাওয়ার দরজা এখনও বন্ধ হয়নি। শেষ ম্যাচে যদি অন্তত খুলনা কিংবা রংপুরের কেউ হেরে যায়, তাহলেই কপাল খুলে যাবে তাদের।
জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১১২ রান। সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নুরুল হাসান সোহান আর মুমিনুল হক মিলে দারুণ সূচনা এনে দেন রাজশাহীকে। তবে ১২ বলে ১২ রান করে দলীয় ৩২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সোহান। মুমিনুল হক স্লো ব্যাটিং করে ২৮ বল খেলে ২১ রান করে আউট হন। এ সময় দলের রান ছিল ৩৭।
সাব্বির রহমান ৯ বলে আউট হয়ে যান ৮ রান করে। এবারের বিপিএলে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানের বিপক্ষে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই যেন ব্যাটে রান হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবুও সাব্বির যখন আউট হন তখন রাজশাহীর রান ৭৭। নিজে বেশি রান করতে না পারলেও ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে জুটি গড়েন।
সাব্বির আউট হলেও কিউই ব্যাটসম্যান জেমস ফ্রাঙ্কলিন এক পাশ আগলে রেখে দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করতে থাকেন। অপর পাশে ড্যারেন স্যামি আউট হয়ে গেলেও শেষ দিকে সামিত প্যাটেলকে নিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান ফ্রাঙ্কলিন। ২৭ বলে খেলা তার এই ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার।
চিটাগাংয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন সাকলায়েন সজিব আর ইমরান খান।
আইএইচএস/আরআইপি