ট্রফি তাহলে হাতবদলই হচ্ছে!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৮ আসরে চারবারই চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। প্রথম আসর জিতে আকাশি-হলুদরা করেছিল হ্যাটট্রিক। তাদের সে কৃতিত্বে ভাগ বসানোর সুযোগ ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে ছিল আবাহনীর সমান্তরালে দাঁড়ানোর। নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে চতুর্থ ট্রফি তাদের ঘরে আসতো হ্যাটট্রিকের আনন্দসহ; কিন্তু শেখ জামালের সে আশা প্রায় শেষ।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে এক প্রকার ছিটকেই গেলো সর্বশেষ দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। ধরেই নেয়া যায় প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি হাতবদলই হচ্ছে এবার।
সামনে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের হাতছানি থাকলেও তা অর্জনে তেমন প্রস্তুতি ছিল না শেখ জামালের। প্রথম পর্ব শেষ করেছিল ৪ নম্বরে থেকে। ১৮ ম্যাচ শেষে টেবিলের ৩ নম্বরে থাকলেও এখন তাদের আশা শেষই বলতে হবে।
কাগজ-কলমে একটা সুযোগ দলটির সামনে থাকলেও তা বাস্তবরূপ পাওয়া কঠিন। ৬ ডিসেম্বর আবাহনী যদি মোহামেডানকে হারিয়ে দেয় তাহলে কাগজ-কলমের হিসেবাটাও চুকে যাবে জামালের। তারা ছিটকে যাবে পুরোপুরিভাবে। তখন শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকবে বলতে গেলে দুই আবাহনী।
মুক্তিযোদ্ধার কাছে হারার পর শেখ জামাল এখন ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৯। শেখ জামাল বাকি ৪ ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৪১।
শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধার গোল করেছেন সৈকত ভৌমিক। ২৫ মিনিটে তার করা গোলটি ধরে রেখে মুক্তিযোদ্ধাও কাগজ-কলমে টিকে থাকলো রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে। চ্যাম্পিয়ন লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর দল। ১৮ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে অলরেডরা।
আরআই/আইএইচএস/এমএস