টানা তৃতীয় ম্যাচে তামিম ঝড়
চিটাগাং ভাইকিংসে ক্রিস গেইল যোগ দেয়ার পরই যেন পুরোপুরি বদলে গেলেন তামিম ইকবাল। যেখানে গেইলের ব্যাট থেকে আসার কথা চার-ছক্কার ফুলঝুরি, সেখানে উল্টো ব্যাটে আগুর ঝরাচ্ছেন তামিম ইকবাল। টানা তৃতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে হাফ সেঞ্চুরি উপহার পেলো বিপিএল। শুধু তাই নয়, তার ব্যাটে বিধ্বংসী ইনিংস দেখছে প্রতিপক্ষের বোলাররা।
তবে তামিম কিন্তু বিপিএলের শুরু থেকেই ফর্মে। উদ্বোধনী ম্যাচেই কুমিল্লার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৪ রানের ইনিংস। এরপর বরিশাল বুলসের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭৫ রানের ইনিংস। মাঝে ২৬ এবং ৩০ রানের দুটি ইনিংস খেললেও এবার গেইল আসার পর টানা তিন ম্যাচে খেললেন ৬২*, ৬৩* এবং ৭৪ রানের ইনিংস। তার ব্যাটেই তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে চিটাগাং ভাইকিংস।
গত বছর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ড্যাশিং ওপেনার। সে ধারা ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। এবারের আসরে ইতোমধ্যেই তুলে নিয়েছেন পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি। যার মধ্যে শেষ তিন ম্যাচে করেছেন টানা তিনটি। শুক্রবার ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খেললেন ৫৯ বলে ৭৪ রানের একটি দুর্দান্ত এক ইনিংস।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যথারীতি ক্রিস গেইলের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন তামিম। সঙ্গী ছিলে ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইল। তবে শুরুতেই গেইলকে হারায় তারা। এরপর দ্রুত ফিরে যান এনামুল ও জহুরুলও। তবে এক প্রান্তে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। তুলে নেন এ আসরের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। শুরুতেই ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা চিটাগাং তামিমের ব্যাটেই লড়াকু সংগ্রহ পায়। চতুর্থ উইকেটে শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এদিন স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ছেড়ে কিছুটা ধীর গতিতে শুরু করেন তামিম। হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪৫ বলে। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত ৭৪ রান করে ব্রাভোর বলে আউট হন তিনি। ৫৮ বল মোকাবেলা করে এ রান করতে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন দেশ সেরা এ ওপেনার।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে আগের দিনই মুশফিককে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানের খাতায় নাম লেখান তামিম। ১১ ম্যাচে ৪২৫ রান নিয়ে সবার উপরে আছেন। সব আসর মিলিয়েও শীর্ষে ওঠার অপেক্ষায় আছেন তামিম। ৩২ ম্যাচে ৩১ ইনিংস খেলে করেছেন ৯৭৫ রান। তার উপরে আছেন মুশফিক (১০৭১) ও এনামুল (১০১১)
আরটি/আইএইচএস/এমএস