তামিম ঝড়ে টানা চার জয় চিটাগাংয়ের
বিপিএলের চতুর্থ আসরের শুরুটা ভালো ছিল না। তবে চট্টগ্রাম পর্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে চিটাগাং ভাইকিংস। অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকেই। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরো একবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তিনি। আর তামিম ঝড়ে টানা চার জয় পেয়েছে চিটাগাং। মঙ্গলবার তারা হারিয়েছে খুলনা টাইটান্সকে, ৫ উইকেটে (৮ বল হাতে রেখেই)।
এই জয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে চিটাগাং। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের ভাণ্ডারে জমা পড়লো ১২ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। তাছাড়া সাকিব আল হাসানের ঢাকা অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে। চিটাগাংয়ের কাছে হারের পর তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে খুলনা। ১০ ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহর দলের সঞ্চয়ও ১২ পয়েন্ট। তবে রানরেটে পিছিয়ে আছে খুলনা। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে জমা করে রাজশাহী কিংসের অবস্থান চতুর্থ।
এদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গেইলের কাছে খুব প্রত্যাশাই ছিল চিটাগাংয়ের। কিন্তু সেটা পূরণ করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান করেই সাজঘরে ফেরেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুভাগত হোমের বলে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ক্যারিবিয়ান।
গেইলকে হারানোর ব্যাপারটা দলকে বুঝতেই দেননি চিটাগাংয়ের আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল! খুলনার বোলারদের কাছে হার মানেননি। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তামিম। ৫৯ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন চিটাগাং অধিনায়ক।
এ ছাড়া চিটাগাংয়ের জয়ে অবদান রাখেন জহিরুল ইসলাম অমি ও মোহাম্মদ নবি। ১৮ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান করেন অমি। আর ৮ বলে ১৭ রান করেছেন নবি। তিনি দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। এদিন এনামুল হক বিজয় (৩), শোয়েব মালিক (১) ও জাকির হোসেন (৩) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
খুলনার হয়ে সমান একটি করে উইকেট লাভ করেছেন শুভাগত হোম, কেভিন কুপার ও মোশাররফ হোসেন রুবেল। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার সূচনাটা ভালো ছিল না। মাত্র ১৪ রানের মাথায় তিন উইকেট খুইয়ে বসে তারা। চিটাগাংয়ের বোলারদের তোপে একে একে সাজঘরে ফেরেন তাইবুর রহমান (১), অলক কাপালি (৩), শুভাগত হোম (২)।
চতুর্থ উইকেটে রিকি ওয়েলসের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়ে দলের বিপর্যয় এড়ানোর চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগত ২০ রানে বিদায় নেন ওয়েলস। তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ইমরান খান। এরপর মাহমুদউল্লাহ জুটি বাঁধেন আরিফুল হকের (১৮) সঙ্গে। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান দলের স্কোরশিটে ৪৪ রান যোগ করেন।
৩৯ বল খেলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া নিকোলাস পুরানের ১৮ ও কেভিন কুপারের ১৫ রানে ভর করে সম্মানজনক স্কোর গড়ে খুলনা।
৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে চিটাগাংয়ের সেরা বোলার ইমরান খান। ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদও। একটি করে উইকেট লাভ করেছেন মোহাম্মদ নবি, শুভাশিষ রায় ও সাকলাইন সজীব।
এনইউ/আরআইপি/বিএ