মিরাজ-ফরহাদের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর রাজশাহীর
টি-টোয়েন্টি বুঝি এমনই হয়! সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে এমন প্রতিরোধ দেখা যায়। কোন এক ইনিংসে শুরুর দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে গেলে শেষের দিকে এক-দু’জন দাঁড়িয়ে যান। উইকেট কামড়ে থেকে দলকে একটা সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন।
টি-টোয়েন্টিতে এ সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। দ্রুত টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার ধ্বসে পড়ার পর টেল এন্ডে এসে কেউ দাঁড়িয়ে থেকে, উইকেট কামড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়ার সুযোগ কম। কারণ, ম্যাচের দৈর্ঘ্য। খুবই কম সময় এবং কম বল পাওয়া যায়। যা করার এই কম সময় এবং বলের মধ্যেই করতে হবে।
কিন্তু আজ যেন এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর ফরহাদ রেজা। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল রাজশাহী। তখন মনে হচ্ছিল বুঝি সর্বনিম্ন স্কোরের আরেকটা লজ্জার ইতিহাস জন্ম দিচ্ছে রাজশাহী।
কিন্তু এরপরই অবিশ্বাস্যভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন মিরাজ আর ফরহাদ রেজা। ৯.২ ওভারে উইকেটে নেমে এ দু’জন জুটি বাধেন। এরপর অবিচ্ছিন্ন থেকেই মাঠ ছাড়েন। ১০.৪ ওভার মোকাবেলা করে গড়েন অপরাজিত ৮৫ রানের জুটি। বিপিএলে এই প্রথম রানের দেখা পেলেন মিরাজ। দারুণ বিপদের দিনে অফিজ্ঞ ফরহাদ রেজার সঙ্গে অবিশ্বাস্য জুটি গড়ে দলকে এনে দিলেন ১২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
৩৩ বলে ৪১ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কাও মারেন তিনি। সঙ্গে ৩২ বলে ৪৪ রান করেন ফরহাদ রেজা। ২টি করে চার এবং ছক্কা মারেন তিনি।
অথচ তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আরাফাত সানি, শহিদ আফ্রিদির ঘূর্ণি তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। সাব্বির রহমানই কেবল দুই অংকের ছোঁয়া পান। ১৬ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়া মুমিনুল ৯, জুনায়েদ ২, সামিত প্যাটেল ২, আবুল হাসান ২, উমর আকমল ১ এবং ড্যারেন স্যামি আউট হন ৫ রান করেন।
রংপুরের হয়ে আরাফাত সানি ৩টি, আফ্রিদি ২টি এবং রুবেল ও লিয়াম ডসন ১টি করে উইকেট নেন।
আইএইচএস/পিআর