চিটাগাংয়ের ড্রেসিং রুম চাঙ্গা করে তুলবেন গেইল
যত বড় মাপের ক্রিকেটার, তত বড় মনের মানুষ। দেখে খুব মুুডি মনে হলেও বাস্তবে মোটেই তা নন। টিমমেট হিসেবেও দারুণ। বিপিএল খেলতে আসার আগে নিজ দল চিটাগাং ভাইকিংসের খোঁজখবর রেখেছেন নিয়মিত।
সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে সেই জ্যামাইকায় বসে টিভিতে তামিম বাহিনীর কয়েকটা ম্যাচও দেখেছেন। লিগ টেবিলে অবস্থান কী? সে খবরও রেখেছেন। আজ বাংলাদেশের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেসব কথাই জানালেন ক্রিস গেইল, ‘শেষবার যখন পয়েন্ট টেবিল দেখেছি, আমার দল তখন চার নম্বরে ছিল।’
ঢাকায় প্রথম পর্বে জয় দিয়ে শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ হেরে বসা। আবার চট্টগ্রামে গিয়ে প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতেছে চিটাগাং। এসব তার জানা।
গেইল বলেন, ‘কিছু ম্যাচ হারার পর মোমেন্টাম পেয়েছে দল। এটাই ভালো হয়েছে। কারণ ছন্দ ফিরে পাওয়া দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারা সবসময়ই ভালো। আশা করি বিপিএলে আবার জয় দিয়ে শুরু করতে পারব।’
সমালোচকদের কেউ কেউ ফোড়ন কাটেন, আরে বিপিএলে গেইল কি আর শতভাগ সিরিয়াস থাকেন? কিন্তু প্রথম দিন প্র্যাকটিসে তার কথায় পরিষ্কার, তিনি শতভাগ সিরিয়াস। ভাল খেলতে এবং দলকে কিছু দিতেই আসা। সে জন্য নিজ দল এবং প্রতিপক্ষ সম্পর্কে খানিক ধারণা নেয়ার চেষ্টাও করেছেন।
তাই তো মুখে এমন কথা, ‘জ্যামাইকায় থাকতে কয়েকটি ম্যাচ দেখেছি। কয়েকটি ম্যাচ, কিছু হাইলাইটস। এছাড়া চিটাগাং ভাইকিংসের স্কোরগুলো ইন্টারনেটে দেখেছি, কারণ জানতাম ওদের হয়ে খেলব। মাঝে মাঝে অন্য দলগুলির খেলাও দেখেছি, যাতে ওদের সম্পর্কে একটু ধারণা নিতে পারি।’
তিনি অনেক অভিজ্ঞ। এক যুগের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে বিচরণ। চিটাগাং ভাইকিংসে তার সহযোগী ক্রিকেটার যারা, তাদের সবাই বয়স ও অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে। তারপরও টিম স্পিরিট গড়ে তুলতে অনুজপ্রতিম ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসেও ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে চান।
‘আমি টিভি ও ইন্টারনেটে চোখ রেখেছি। তাই দলের সঙ্গে না থাকা মানেই দূরে ছিলাম না। আমি নিয়মিত অনুসরণ করছিলাম। প্রথম ম্যাচ আমরা জিতেছি, এরপর সম্ভবত টানা তিন-চারটি হেরেছি। এরপর আবার ঘুরে দাঁড়ানো। আর নতুন দলে যোগ দেয়া আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি এতে অভ্যস্ত। নতুন নতুন ছেলেদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করাও দারুণ।’
নতুনদের কাছ থেকে শেখারও ইচ্ছে আছে গেইলের। সেটাই তিনি বললেন, ‘কেবল আমি অভিজ্ঞ বলেই নয়, আমি ওদের (তরুণদের) কাছ থেকে শিখতে পারি। আমি কিছু জানতে পারি ওদের কাছ থেকে, আমি নতুন এলেও নতুন কিছু জানাতে পারি। চেষ্টা করব ড্রেসিং রুমকে চাঙ্গা রাখতে। ছেলেদের বিশ্বাস বাড়াতে এবং মাঠে নেমে কাজের কাজটা করতে।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি