শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডু প্লেসিস
বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ওপর শাস্তি হিসেবে হোবার্ট টেস্টের ম্যাচ ফির পুরোটা কেটে নিয়েছিল আইসিসি। হোবার্ট টেস্টের চতুর্থ দিন মুখেল লালা দিয়ে বলের আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন বলে ডু প্লেসিসের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে ভিডিও ফুটেজ এবং অন ফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্ট পর্যালোচনার পর ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দোষি হিসেবে সাব্যস্ত করেন ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে। এরপর জরিমানা হিসেবে ম্যাচ ফি’র পুরোটা কেটে নেন।
তবে ডু প্লেসিসের ওপর স্বাধীনতা দেয়া হয় এই শাস্তির বিপক্ষে আপিল করার জন্য। সেই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়েই এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। যখন থেকে তার ওপর বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তখন থেকেই তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। এমনকি প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, তাদের অধিনায়ক এমন কাজ করেননি। তবুও যখন অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত করে শাস্তি দেয়া হলো, তখন ডু প্লেসিস অপেক্ষা করে থাকলেন না, রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলেন।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের এই আপিলে বেশ নাখোশ আইসিসি। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই হতাশার কথা। তবে নিয়ম অনুযায়ী ডু প্লেসিসের আপিলের জন্য আলাদা জুডিসিয়াল কমিশন গঠন করতে হচ্ছে আইসিসিকে। সেই বিবৃতিতেই আলাদা জুডিসিয়াল কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
তবে, নতুন করে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে ডু প্লেসিস নিজেই বিপদে পড়ে যেতে পারেন। কারণ, আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর যে রায় দেয়া হবে, তাতে নিশ্চিত আগের রায় পরিবর্তন হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পুরনো রায়ের শাস্তির পরিমাণ কমেও যেতে পারে। আবার বাড়তেও পারে। বাড়লে এক ম্যাচ নিষিদ্ধের খাঁড়ায় পড়তে পারেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুণ লরগাত বলেছেন, ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাই তাদের অধিনায়ককে বলেছে, নিজের সংরক্ষিত অধিকার প্রয়োগ করার জন্য। সে কারণেই আপিল করেছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস।
আইএইচএস/এমএস