আফ্রিদির অভাব টের পেলো রংপুর
শহিদ আফ্রিদিকে ছাড়াই বিপিএলের চতুর্থ আসরে এই প্রথম মাঠে নামতে হলো রংপুর রাইডার্সকে। বিপিএলের প্রথম থেকে দলটির সাফল্যের অন্যতম সেরা নায়ক হলেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। ব্যাট নয়, বল হাতেই তিন প্রতিপক্ষের রানের গতি থামিয়ে দেন। তার নিয়ন্ত্রিন বোলিংয়েই প্রতিপক্ষকে খুব কম রানে বেধে ফেলে এরপর সহজেই জয় তুলে নেয় রংপুর।
এমন অনেকগুলো ম্যাচে রংপুর জিতেছে, যেখানে আফ্রিদির হাতেই প্রতিপক্ষের রানের চাকা থেমে গিয়েছিল। ১২০ থেকে ১৩০-এর মধ্যে প্রতিপক্ষের রান বেধে রেখে সহজ জয়ের পথ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচটিছাড়া আর কোন ম্যাচেই এ কারণে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়নি রংপুরের দলটিকে। তবে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ব্যক্তিগত কাজে দেশে ফিরে গিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি।
রংপুর ফ্রাঞ্চাইজিসূত্র জানিয়েছে, ২৯ তারিখ আবার ঢাকায় ফিরবেন তিনি। সে পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলতে হবে রংপুরকে। যার প্রথমটিতে আজ তারা মুখোমুখি হয়েছে রাজশাহী কিংসের।
ঢাকায় বিপিএলের তৃতীয় পর্বের প্রথমদিন খেলতে নেমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। বোলিং করতে গিয়ে পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারের অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। আফ্রিদি না থাকাতেই হয়তো রংপুরের সামনে ১৬৩ রানের বড় লক্ষ্য বেধে দিতে পেরেছে রাজশাহী কিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানদের মাত্র ৫জনকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে পেরেছে রংপুরের বোলাররা। ইংলিশ বোলার লিয়াম ডসন ৩ ওভার বল করে দেন ১৫ রান এবং নেন ২ উইকেট। আর আরাফাত সানি ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। উইকেট নিয়েছেন ১টি। এছাড়া আর কোনো বোলারই বলারমত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। পাকিস্তানের আনোয়ার আলি ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৯ রান এবং বাংলাদেশের রুবেল হোসেন দিয়েছেন ৪২ রান।
আগের ৬ ম্যাচে আফ্রিদি বোলিং করেছেন মোট ২৩ ওভার। ৫.৪৩ ইকনোমি রেটে রান দিয়েছেন ১২৫টি। উইকেট নিয়েছেন ১১। পুরো টুর্নামেন্টে পূর্ণ মাত্রার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইকনোমি রেটে বল করেছেন শুধু আরাফাত সানি, যিনি আবার আফ্রিদিরই সতীর্থ। সানি বল করেছেন ৪.৯৭ ইকনোমি রেটে এবং উইকেট নিয়েছেন ৮টি।
আইএইচএস/এমএস