দোষি ডু প্লেসিস তবুও খেলবেন অ্যাডিলেডে
হোবার্টে বল টেম্পারিং করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। একটি টিভির ভিডিও ফুটেজে এমন দৃশ্য উঠে আসার পর শুরু হয় তোলপাড়। অস্ট্রেলিয়ানরা তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে এর নাম দিয়ে দিলো ‘ললিগেট’ কেলেঙ্কারি।
দক্ষিণ আফ্রিকানদের প্রবল আপত্তির মুখেও আইসিসি এ ঘটনার তদন্তে নামে। শেষ পর্যন্ত আইসিসির তদন্তে প্রমাণিত হলো, বল টেম্পারিং করেছেন ডু প্লেসিস। তবে, প্রমাণ পাওয়ার পরও ‘গুরু পাপে লঘু দণ্ড’ দিয়েছে তারা প্রোটিয়া অধিনায়ককে।
হোবার্ট টেস্টের পুরো ম্যাচ ফি কেটে নেয়া হয়েছে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের কাছ থেকে। শাস্তি বলতে এটুকুই। সামনের অ্যাডিলেড টেস্ট খেলতেও প্লেসিসের সামনে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো না আইসিসি। অথ্যাৎ অ্যাডিলেডে খেলতে পারবেন তিনি। আইসিসির এক বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে সম্পূর্ণ বিষয়টি।
বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর অ্যাডিলেডেই ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সামনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন, মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) হেড অব ক্রিকেট জন স্টিফেনসন এবং অভিযুক্ত ফ্যাফ ডু প্লেসিস উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছ, ডু প্লেসিসের বিপক্ষে এই সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছে মূলতঃ ভিডিও ফুটেজ এবং অনফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে। অনফিল্ড আম্পায়াররাও তাদের রিপোর্টে ডু প্লেসিসের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন। আর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হোবার্ট টেস্টের চতুর্থ দিন ডু প্লেসিস বলের মধ্যে কৃত্রিম পদার্থ মাখিয়েছেন। যা খেলোয়াড়দের জন্য আইসিসি নির্ধারিত আচরণবিধির ২.২.৯ শর্তের পরিপন্থি।
বল টেম্পারিংয়ের নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও ডু প্লেসিসের বিপক্ষে বড় কোন শাস্তি হলো না। যদিও তার আচরণ বিধিতে ৩টি ডিমেরিটস পয়েন্ট যোগ হলো।
আইএইচএস/এমএস