আবারও খুলনার নাটকীয় জয়
নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জয়টা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে খুলনা টাইটান্সের। মাহমুদউল্লাহ ম্যাজিকে এমনিতেই দুটি অনিশ্চিত ম্যাচ একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে জিতেছে খুলনা। সব মিলিয়ে ৪টির মধ্যে ৩ ম্যাচ জিতে ভালোই লড়াইয়ে নিজেদের ধরে রেখেছে মাহমুদউল্লাহর দল। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে খুলনা মুখোমুখি হলো ঢাকা ডায়নামাইটসের।
এই ম্যাচেও অনেকটা নাটকীয়ভাবেই জিতে গেলে খুলনা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ রানেই থেমে যেতে হয় ঢাকাকে। ফলে ৯ রানের দারুণ এক জয় তুলে নেয় মাহমুদউল্লাহর দল।
অথচ ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারায় ঢাকা। এ সময় মনে হচ্ছিল পরাজয়টা বুঝি ঢাকা ডায়নাইমটের নিশ্চিতই। খুব সহজেই হেরে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের দল; কিন্তু এ সময় জ্বলে ওঠেন শ্রীলংকান সেকুগে প্রসন্ন। সানজামুল ইসলামকে নিয়ে ঢাকাকেই উল্টো জয়ের পথে নিয়ে আসেন তিনি।
প্রসন্ন আর সানজামুল মিলে গড়েন ২৪ বলে ৫৬ রানের দারুণ এক জুটি। এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঢাকা। কিন্তু ১৮তম ওভারে গিয়ে মোশাররফ রুবেলের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সানজামুল। সোহরাওয়ার্দী শুভ মাঠে নেমে বোকার মত রানআউট হয়ে যান।
তবুও শেষ ওভারে (৬ বলে) প্রয়োজন ছিল ১০ রান। উইকেটে ছিলেন সেকুড়ে প্রসন্ন। দুটি বলই যথেষ্ট ঢাকাকে জেতাতে। কিন্তু কেভন কুপারের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে গিয়ে আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই শেষ ঢাকার প্রতিরোধ। ৫ বল আগেই অলআউট সাকিবের দল। হেরে গেলো তারা ৯ রানের ব্যবধানে।
২২ বলে ৫৩ রান করেন প্রসন্ন। কোন বাউন্ডারি নেই। ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ৩৫ রান। অথচ, শুরুতে কেভন কুপার, জুনায়েদ খান কিংবা শফিউল ইসলামদের তোপের মুখে ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। মেহেদী মারূফ, ম্যাট কোলস, সাঙ্গাকারা, নাসির হোসেন, সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং মোসাদ্দেক হোসেনরা আউট হয়ে যান দ্রুত।
খুলনার হয়ে কেভন কুপার এবং মোশাররফ হোসেন রুবেল নেন ৩টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান, শফিউল ইসলাম, তাইবুর রহমান।
আইএইচএস/আরআইপি