ব্যাট হাতে জুনায়েদের জবাব
হালের সাব্বির রহমানের আগে বাংলাদেশের এক মাত্র টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হতো জুনায়েদ সিদ্দিকীকে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণ তৈরি হবার পর বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিটিও করেছিলেন তিনি। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও করেছিলেন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি।
কিন্তু এরপর ফর্মহীনতার কারণে জাতীয় দল থেকে হারিয়ে যান জুনায়েদ। এমনকি এবারের বিপিএলের শুরুতেও কোন দল পাননি এ ড্যাশিং ওপেনার। যদিও রনি তালুকদারের ইনজুরির কারণে রাজশাহী কিংসে খেলার সুযোগ পেলেন তিনি। আর সুযোগ পেয়েই তাকে অবহেলা করার জবাব দেন এ ব্যাটসম্যান।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুমিনুল হকের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন জুনায়েদ। এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে ২৮ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ১টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাহমুদুল হাসান লিমনের বলে ২টি দারুণ ছক্কা হাঁকান এ তারকা। এরপর সাকলায়েন সজীবের বলেও দারুণ একটি ছক্কা মারেন তিনি। তবে ইলিয়টের বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অফে নবির তালুবন্দি হন এ ওপেনার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) সফল জুনায়েদ। চলতি ম্যাচসহ মোট ২৩টি ম্যাচ খেলেছেন এ বিপিএলে। আর তাতে ২৩.৯৫ গড়ে করেছেন ৪৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৮৯ ও স্ট্রাইক রেট ১৩১.৯৫।
উল্লেখ্য, ২০০৬-০৭ মৌসুমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। সে আসরে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেন জুনায়েদ। আর তার ব্যাটে ভর করেই শিরোপা জয় করে নিয়েছিল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। সে আসরের লিগ পর্বে ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোনারগাঁ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০ ছক্কায় দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন জুনায়েদ। এরপর জাতীয় দলের অভিষেক ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস।
আরটি/আইএইচএস/এমএস