বরিশালকে হারিয়ে দুইয়ে রংপুর
শেষ ওভারে বরিশাল বুলসের দরকার ছিল ২০ রান। সোহাগ গাজীর প্রথম বলেই দুই রানের জন্য দৌড়াতে গিয়ে রানআউট কামরুল ইসলাম রাব্বি। একবার জায়গা বদল করায় দলের স্কোরশিটে এক রান যোগ হয়। ৫ বলে ১৯ রান যখন দরকার, তখন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। পরের বলেই অবশ্য মোহাম্মদ শাহজাদের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তাইজুল।
এবার ৩ বলে দরকার ১৩ রান, বরিশালের হাতে আছে ১ উইকেট। আর ১২ রান হলে ম্যাচটি টাই করতে পারতো মুশিফিকের দল। পরের বলে আল-আমিন রানআউটে কাটা পড়লে সব সমীকরণ ধূলিসাৎ হয় বরিশালের। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে এসব দেখছিলেন বরিশালের আরেক ব্যাটসম্যান থিসারা পেরারা। কিছুই করার ছিল না তার। ম্যাচটিতে বরিশালের বিপক্ষে ১২ রানে জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।
এই জয়ে লিগ টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে নাঈম ইসলামের দল। চার ম্যাচের তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। একই পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে বরিশালের অবস্থান তৃতীয়। বরিশাল অবশ্য এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। শীর্ষে থাকা ঢাকা ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন জীবন মেন্ডিস। শহীদ আফ্রিদির শিকার হওয়ার আগের ৫৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। মুশফিক করেছেন ৮ রান। আর শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। পেরারা অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। আর তাতে ১৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল।
রংপুরের হয়ে সোহাগ গাজী সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। রুবেল হোসেন ও আফ্রিদি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। আর একটি উইকেট নিয়েছেন ডউসন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে রংপুর। তাদের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য জমেনি। দলীয় ২১ রানের মাথায় সৌম্য সরকার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে। ব্যক্তিগত ঝুলিতে ১৪ রান জমা করতে সক্ষম হন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা এই ওপেনার। মজার বিষয়, রংপুরের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদও আজ থেমেছেন ১৪ রানে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর। ওপেনারদের ব্যর্থতা ঢেকে দেন মোহাম্মদ মিথুন ও লিয়াম ডউসন। এই জুটিতে ৭৮ রান দলের স্কোরশিটে জমা করেন তারা। মিথুন তুলে নিলে বিপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬২ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
ডউসনও অবশ্য ফিফটি পেতে পারতেন। কিন্তু রিয়াদ এমরিটের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন আবু হায়দার রনির হাতে। ইংলিশ এই তারকার ব্যক্তিগত ইনিংস থামে ৪৬ রানে। তার ৩৬ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ ৩টি চার ও একটি ছক্কায়। এরপর আফ্রিদি এসে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে শুরু করেন। ১০ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২২ রান করেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। আফ্রিদি ঝড় থামান থিসারা পেরেরা।
বরিশালের পক্ষে সমান দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন তাইজুল ইসলাম ও থিসারা পেরেরা। আর একটি উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রিয়াদ এমরিটকে।
এনইউ/পিআর/বিএ