মুশফিকের কাছে হারলো তামিম
রীতিমত আকাশে উড়ছে বরিশাল বুলস। বিপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংসকেও ৭ কেটে উড়িয়ে দিয়েছে বরিশালের বুলসরা। ২ বল হাতে রেখেই চিটাগাং ভাইকিংসের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য পার হয়ে যায় বরিশাল বুলস। মূলত ডেভিড মালান এবং শাহরিয়ার নাফীসের দুরন্ত ব্যাটিংই বরিশালকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬৩ রান করে চিটাগাং ভাইকিংস। জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানের মাথায় ওপেনার জসুয়া কবকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। এরপরই ইংলিশ ক্রিকেটার ডেভিড মালান আর শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা।
মালান আর শাহরিয়ার নাফীস মিলে ১৫০ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন। বিপিএলের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর যে কোন উইকেট জুটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৩ সালে লু ভিনসেন্ট আর শাহরিয়ার নাফীস মিলে গড়েছিলেন সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৯৭ রানের জুটি। এছাড়া ২০১২ সালে আহমেদ শেহজাদ আর ক্রিস গেইল মিলে গড়েছিলেন ১৬৭ রানের জুটি।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেন শাহরিয়ার নাফীস। আগের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৩ রান। আজ করলেন ৫৯ বলে ৬৫ রান। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
নাফিস আউট হয়ে গেলেও অপরাজিত থেকে যান ডেভিড মালান। ৪৮ বলে তিনি খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৭টি ছক্কার মার।
১৫৭ রানে নাফীস আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন থিসারা পেরেরা। তিনি আউট হয়ে যান কোন রান না করেই। বাকি কাজ শেষ করার জন্য মাঠে নামেন মুশফিকুর রহীম।
মাঠে নেমেই অবশ্য একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন মুশফিক। বিপিএলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। এই ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন ৯৯৫ রান নিয়ে। মাঠে নেমেই ১টি ২, ২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে করলেন ১০ রান। তাতেই ছুঁয়ে ফেলেন গৌরবের মাইলফলক। শেষ পর্যন্ত বরিশালের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৬৭।
আগের ম্যাচেই এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের ইনিংস গড়েছিল বরিশাল বুলস। রাজশাহীর বিপক্ষে ওই ম্যাচে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে। পরে সাব্বির রহমান সেঞ্চুরি করেও বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীকে জয় এনে দিতে পারেননি।
আইএইচএস/এবিএস