হতাশ মাশরাফির বিশ্বাস ঘুরে দাঁড়াবেন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা তৃতীয় ম্যাচে হেরে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অথচ গড়পড়তার দল গড়ে গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। এবার দারুণ দল গড়েও এখনও জয়ের দেখা পাচ্ছে না তারা।
রোববার খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ১৩ রানে হেরে যায় মাশরাফির দল। এ হারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে দলের খেলোয়াড়দের উপর আস্থা থাকায় বিশ্বাস রাখেন ঘুরে দাঁড়াবে তার দল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে ঘুড়ে দাঁড়াতে পারলে মোমেন্ট টাইম আসতে পারে। টি-টোয়েন্টি এটাই খেলা। আমাদের খেলোয়াড়দের দায়িত্ব বেশি নিতে হবে। বাড়তি সতর্কতা রাখতে হবে। আজকে যেমন উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানরা বাড়তি দায়িত্ব নিলেই হয়ে যেত। ইতিবাচক থেকে এসে মাঠে খেলতে হবে। আসলে সব সময়ই একই রকম যাবে না। আমি এখনো ইতিবাচক, ছেলেদের নিয়ে। আমার বিশ্বাস তারা ঘুড়ে দাঁড়াবে’।
দিনের প্রথম ম্যাচে বড় স্কোরের ম্যাচ হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাটিং করেছেন। তাই এ উইকেটে ১৪৪ রান চেজ করা উচিত ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘এই রান চেজ করা উচিত ছিল আমি মনে করি। ব্যাটিং ধস ছাড়া আজকে হারার কোন কারণ নেই। প্রথম দুই ইনিংসেই বোঝা গিয়েছে আজকে উইকেট খুব ভালো। এই উইকেটে যদি জিততে না পারা যায় তাহলে আর কীভাবে। আমরা শুরুটা ভালো পেয়েছি। তারপরও না পারাটা খুবই হতাশার’।
তবে এদিন কিছুটা দুর্ভাগা ছিলেন মাশরাফিরা। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আহত হন ওপেনার সৈকত আলী। তাই বাধ্য হয়েই ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। তবে রশিদ খানের বোলিংয়ে দারুণ খুশি অধিনায়ক। তার বোলিংয়ের কারণেই কুমিল্লাকে অল্প রানে বেঁধে রাখতে পেরেছেন বলে জানান মাশরাফি, ‘রশিদ খান অসাধারণ বোলিং করেছে। ওর জন্যই আমরা ১৪৪-১৪৫ রাখতে পেরেছি। নয়তো আরও রান হতো। দূর্ভাগ্যবশত সৈকত ইনজুরির কারনে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে লিটনকে। ইমরুল সেরা ফর্মে ছিল। টপ অর্ডারে স্যামুয়েলস আছে। এরপরও আসলে না হলে কিছু করার থাকে না’।
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের সব ক’টিতে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে মাশরাফির কুমিল্লা। আগামীকাল ঢাকা ভেন্যুর প্রথম পর্বে শক্তিশালী ঢাকা ডাইনামাইটসের মোকাবেলা করবে তারা।
আরটি/এসআইএস