টেস্টে শক্তির জায়গাটা বুঝতে পেরেছেন মুশফিক!
ঘরের মাঠে যে কোন টেস্ট সিরিজেই স্বাগতিক দলের একটা অ্যাডভান্টেজ থাকে। সেই অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে স্বাগতিকরা সব সময়ই চেষ্টা করে ম্যাচের ফল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার। আগের সবগুলো হোম সিরিজেই স্পিনিং কন্ডিশনকে মাথায় রেখে উইকেট তৈরী করে।
কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজের আগ পর্যন্ত কোন সিরিজেই বাংলাদেশ হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগাতে পারেনি। এবার পেরেছে। এবার কী তবে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তির জায়গাটা ঠিকমত ধরতে পেরেছে? আগে কেন পারেনি- টেস্ট ক্রিকেটে ১৬৫ বছর পূর্তির দিনে অধিনায়ক মুশফিকের কাছে এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়েছে।
জবাবে শুরুতেই মুশফিক বললেন, ‘এটা খুব কঠিন একটি প্রশ্ন।’ এরপর বললেন, ‘আসলে আমাদের শক্তির জায়গাটা কোথায় সেটাই তো আগে বুঝতে হবে! আপনার দলের যদি কোন শক্তিই না থাকে, তাহলে আগে থেকে কোন কিছু পরিকল্পা করে প্রস্তুত হওয়াটা অনেক কঠিন। আবার প্রতিপক্ষ নিয়েও ভাবতে হবে। তারা যদি উপমহাদেশের কোন দল হয়, তাদেরও বিশ্বমানের কিছু স্পিনার থাকবে। নিজেদেরও সামলাতে হবে তাদেরকে। সার্বিকভাবে একটা পরিকল্পনার ব্যাপার অবশ্যই আছে।’
তবে মুশফিক মনে করেন, শক্তিমত্তা বুঝে যেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এটা সঠিক সময়েই করা হয়েছে। খুব বেশি দেরি হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখনও দেরি হয়ে যায়নি, বরং ভাল সময়েই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ দল ভাল খেলছে। আমি আগেও বলেছি, ওয়ানডে ফরমেট, টি-টোয়েন্টি ফরমেট নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা থাকে, টেস্টেও তা আমাদেরকে অনেক কাজে দিয়েছে। ভবিষ্যতে দেখবেন,আমরা যদি এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি এবং এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে সাফল্য আসবেই। এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিকল্পনা আমরা সবসময়ই করে থাকি; কিন্তু সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তবে এবার আল্লাহর রহমতে প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ই অনেক ভাল খেলেছে এবং এজন্যই বাংলাদেশ দল সাফল্যটা পেয়েছে।’
আইএইচএস/পিআর