সর্বনিম্ন রানের লজ্জা খুলনার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় দিনে অনেকটা পাড়ার ক্রিকেটের মতই ব্যাট করেছে খুলনা টাইটান্স। মাত্র ৪৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর দল। আজকাল গলির ক্রিকেটেও এমন ভেঙে পড়া ব্যাটিং দেখতে অভ্যস্ত নন ক্রিকেট ভক্তরা। অথচ আগের দিনই দারুণ নাটকীয় জয়ই পেয়েছিল দলটি।
বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডোবে খুলনা। মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। মূলতঃ শহিদ আফ্রিদি ও আরাফাত সানির ঘূর্ণিতেই ভেঙে পড়ে খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ। শুরু থেকেই খুলনার ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
একমাত্র শুভাগত হোম ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের ছোঁয়া পাননি। ৮ বলে সর্বোচ্চ ১২ রান করেন এ অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নূর আলমের (৮) ব্যাট থেকে। শুভাগত হোম ও আরিফুল হক করেন সর্বোচ্চ ১৬ রানের জুটি।
শুরু থেকেই রংপুরের স্পিন বিষে নীল হয় খুলনা। শুরুটা অবশ্য করেন সোহাগ গাজী। এরপর আফ্রিদি ও সানির বোলিং তোপে আর থিতু হতে পারেনি খুলনার কোন ব্যাটসম্যানই।
এদিন উইকেট নেওয়ার রান দিতে মহা কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন আরাফাত সানি। ২.৪ ওভার বল করে কোন রান না দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। আর ১২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট পান আফ্রিদি।
এর আগে ২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসরে সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল বরিশাল বুলস। এটাই ছিল এতদিন বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের স্কোর। এবার এটাকেও ছাড়িয়ে গেলো খুলনা।
যেদিন বরিশালকে ৫৮ রানে অলআউট করেছিল, এর একদিন পরই ঘটেছিল উল্টো ঘটনা। আগের দিন বরিশাল বুলসকে ৫৮ অলআউট করা সিলেট পরদিন নিজেরাই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অলআউট হয় ৫৯ রানে।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সর্বনিম্ন রান করেছিলেন খুলনা রয়্যালস। ২০১৩ সালে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ১৫৭ রান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।
আরটি/আইএইচ/পিআর