ছক্কা মারতেই পছন্দ করেন মেহেদী মারুফ
ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঝে মধ্যে বড় ইনিংস খেললেও কখনোই তেমন আলোচনায় ছিলেন না মেহেদী মারুফ। অথচ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসরের প্রথম দিনেই আলোচিত তিনি। বিশেষ করে বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন সবার। একাই উড়িয়ে দিয়েছেন বরিশালের বোলারদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন একই কথা। বড় বড় ছক্কা মারতেই পছন্দ করেন এ নবীন।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে মারুফ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি মানেই পজিটিভ থাকা, নিজের শটস খেলা। আজকে আমার দিন ছিল, ব্যাট হাসছে। আর আমি ছক্কা মারতে বেশি পছন্দ করি। টি-টোয়েন্টিতে এটার সুযোগ বেশি থাকে। দুটা মিলিয়ে আজকে হলো। বড় বড় ছক্কা মারার জন্য টাইমিংটার দরকার পড়ে। আজকে টাইমিংটাও ভালো ছিল।’
মারুফের ব্যাটে ভর করেই গত আসরে এলিমিনেটর রাউন্ডে বরিশাল বুলসের কাছে হারের প্রতিশোধটা দারুণভাবেই নিয়েছে ঢাকা ডাইনামাইটস। এদিন বেশ স্বাধীনভাবে নিজের শটসগুলো খেলেছেন মারুফ। এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
‘সুজন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর মনে হয়েছে সুযোগ প্রথম থেকেই পাবো। সুজন ভাইয়ের মতো কোচ পাওয়া আমার জন্য ভাগ্যের বিষয়। খুব ফ্রি, খুব ফ্র্যাঙ্কলি, খুব আরামসে আমাকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওই ভাবনাটাও ছিল।’
‘হ্যাঁ সুজন ভাই আগেই বলে দিয়েছিলেন নিজের খেলা খেলবি, সেরা ক্রিকেট খেলবি। প্রথম বলে আউট হলে হবি, যখন খুশি তখন হলেও আমার কোনো সমস্যা নাই। তুই তোর খেলা খেলবি। তুই এক প্রান্ত থেকে খেলে যাবি। এটাই চেষ্টা করেছি।’
আগের আসরে এ বরিশাল বুলসের হয়েই খেলেছিলেন মারুফ। তবে সেভাবে আলো কাড়তে পারেননি। এবার সুযোগ হয়েছে ঢাকা দলে খেলার যেখানে তার সতীর্থ সাঙ্গাকারা, মাহেলা, ব্রাভো, রাসেল, বোপারাদের মতো বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড়রা। তাদের কাছ থেকে শিখে নেয়ার চেষ্টা করছেন এ ওপেনার।
‘এতো বড় বড় খেলোয়াড় আসছে, ওদের কাছ থেকে শেখা, দেখা; দেখে দেখে শিখতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। দেখে দেখে শিখতে পারছি মনে হচ্ছে উন্নতি হচ্ছে। ওদের সঙ্গে কথা বললে অনেক কিছু শেখা যায়। ওগুলো মাঠে খেলার চেষ্টা করেছি।’
গত আসরে দারুণ দল গড়েও শেষ চারেই স্বপ্নভঙ্গ হয় ঢাকার। এবারও তারা সেরা দলই গড়েছে। এমন দল নিয়েই চ্যাম্পিয়ন না হতে পারাটা দুর্ভাগ্যই মনে হবে মারুফের কাছে, ‘সাঙ্গাকারা, মাহেলা, ব্রাভো, রাসেল এদের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। টি-টোয়েন্টিতে এরা সেরা। এদের থেকে সেরা কোনো সংগ্রহ কোনো দলের নেই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে মোসাদ্দেক, নাসির, সাকিব; এরা বাংলাদেশের সেরা। দুটার সেরা মিলিয়ে যদি না হতে পারি তাহলে আমাদের জন্য খুব দুর্ভাগ্য হবে।’
আরটি/বিএ