‘সৌম্য’কে আবার চেনাবেন সৌম্য
গত বছর অনেকটা স্বপ্নের মতই কাটিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা ওপেনার সৌম্য সরকার; কিন্তু চলতি বছরে নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছেন এ ওপেনার। দলে থাকলেও সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছে তাকে। তাই নিজেকে প্রমাণের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল) বেছে নিয়েছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানালেন আবার আগের ‘সৌম্য’ হিসেবেই ফিরতে চান তিনি।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে অনুশীলন করতে আসেন সৌম্য এবং তার দল রংপুর রাইডার্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য সবসময় ভালো খেলা। তবে চেষ্টা করবো এখান (বিপিএল) থেকে আপনাদের চেনা সৌম্যকে আবার চেনানোর জন্য।’
চলতি বছরের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেললেও গত মাসে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের ফলে সংস্করণ বদলে যায়। এর আগে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগও খেলেছে তারা ওয়ানডে সংস্করণে। তবে বিপিএলের সুবাদে ওয়ানডে থেকে আবার টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছে ক্রিকেট। সিরিয়াস হয়েই এ আসর উপভোগ করবেন বলে জানালেন সৌম্য।
‘এতদিন আমরা যে সংস্করণে ছিলাম, এর বাইরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই বিপিএল। তো সংস্করণ বদলেছে। এখানে খেলাটা সবার জন্য একটা অন্যরকম। পারফরম করলে অনেকের জন্য অনেক ভালো হয়, আবার অনেকে এখান থেকে পিছিয়েও যেতে পারে। বিপিএলটা সিরিয়াসলি নেওয়াটাই আমার মনে হয় ভালো। চতুর্থ আসরটা উপভোগ করেই খেলবো।’
বিপিএলের এ আসরটিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন সৌম্য। এ আসরে দেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড় থাকায় নিজেদের উন্নতির পরিমাপটা ভালোভাবেই দিতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি। অনেক ম্যাচ খেলার কারণে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি নিজের ভুলগুলোও ধরতে পারবেন বলে মনে করেন এ ওপেনার।
‘যত ম্যাচ খেলবো ভুলগুলো তত ধরতে পারবো, সেখান থেকে ভুলের সংখ্যা কমার সুযোগটাও বেশি থাকে। কারণ ম্যাচ যত খেলবো তত বেশি অভিজ্ঞ হবো। নিজের সম্পর্কে জানার গ্যাপটাও কমে আসবে। ঘরে যখন খেলি শুধু দেশি খেলোয়াড়রাই খেলে, এখানে বাইরের অনেক খেলোয়াড় খেলবে। এখানে যদি ভালো করা যায় তাহলে উন্নতিটা বেশি ভালো বোঝা যায়।’
তবে এবার রংপুর তাদের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে হারিয়েছে। তার ঘাটতি পোষাতে বিদেশি খেলোয়াড়দের দিকে হাত বাড়ালেও সম্প্রতি শুনতে হয়ে দুঃসংবাদ। পাকিস্তান টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ায় ঢাকা আসা হচ্ছে না বাবর আজম ও শারজিল খানের। তবে তাদের ছাড়াও বাকি সকল খেলোয়াড়দের কাচ থেকে শতভাগ আশা করছেন তিনি। দেশি-বিদেশি সবাই শতভাগ দিতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন এ ড্যাশিং ওপেনার।
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি