খুলনা ভাসছে মিরাজ বন্দনায়
প্রথমবারের মত ইংল্যান্ড বধের নায়ক ঘরের ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে উৎসবে মেতেছে খুলনাবাসী। মিরাজ নামেই অধিক পরিচিত ক্রিকেটের এই নতুন সেনসেশন খুলনার মানুষের কাছে এখন অতি আদরের প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনার খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নং প্লটের বাসায় পৌঁছার পর রাতে শুধু একটু ঘুমাতে পেরেছেন তিনি। বাকি সময়টা কেটেছে শুভাকাঙ্ক্ষী আর ভক্তদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতে।
খুলনাবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছা, সংবর্ধনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন ১৯ বছরের এই ক্রিকেটার। এ সময় ‘মিরাজ’ ‘মিরাজ’ স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত ভক্তরা। মিরাজকে পেয়ে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো খুলনায়।
সোমবার বিকেলের ফ্লাইটে যশোর হয়ে খুলনার বাড়ি পৌঁছান মিরাজ। ছেলে বাড়িতে আসার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিরাজের বাবা মো. জালাল হোসেন, মা মিনারা বেগম, বোন রুমানা আক্তার মিম্মাসহ পুরো এলাকাবাসী।
বাড়ি ঢুকেই বাবাকে জড়িয়ে ধরেন মিরাজ। এরপর একে একে উপস্থিত সকলেই মিরাজকে বুকে জড়িয়ে নেন। ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এলাকার সন্তানকে কাছে পেয়ে আনন্দে ভাসছে এখন খুলনা।
মিরাজকে দেখতে বিকেল থেকেই তার বাড়ি অপেক্ষা করছিলেন ভক্তরা। মিরাজ বাড়ি পৌঁছার পর নামে জনতার ঢল। চারদিকে শুধু যেন আনন্দ আর উৎসবের আমেজ।
সোমবার রাত হয়ে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেন মিরাজ। খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু বলেন, মিরাজ খুলনার গর্ব। আরো আগেই তাকে জাতীয় দলে নেয়া উচিত ছিলো। মিরাজ আরো এগিয়ে যাক, খুলনাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করুক এই কামনা করেন তিনি।
খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মিরাজকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তার আরো উন্নতি কামনা করেন।
অভিষেক টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়ে আগের প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে মিরাজ উঠে এসেছিলেন ৬১তম স্থানে। এরপর ঢাকায় এক ম্যাচ খেলেই এক লাফে উঠে এলেন ৩৩ নম্বর স্থানে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এই সেনসেশন অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ঢাকা টেস্টে নেন আরো ১২ উইকেট। দুই টেস্ট মিলিয়ে পান মোট ১৯ উইকেট।
যা দুই টেস্ট সিরিজে বিশ্বের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও বটে। দুই টেস্টের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে মিরাজ ভেঙেছেন ১২৯ বছরের পুরনো রেকর্ড।
আলমগীর হান্নান/আইএইচএস/আরআইপি