‘জয়ের জন্য বাংলাদেশ অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে’
বর্তমান সিরিজের আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ইংল্যান্ড। সেবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দু’টিতেই সহজ জয় পায় ইংলিশরা; কিন্তু ছয় বছর পর আবার বাংলাদেশে এসে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছে তারা। এমনকি সিরিজও জিততে পারেনি ইংলিশরা।
চট্টগ্রাম টেস্টে কষ্টকর জয়ের পর ঢাকা টেস্টে এসে হেরে যায় তারা। টেস্ট জয়ের জন্য এবার টার্নিং উইকেট তৈরি করে বাংলাদেশ। আর এটাকেই দারুণ সাহসী সিদ্ধান্ত বলে জানান ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কুক বলেন, ‘তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাহসী হবে এবং চেষ্টা করবে ম্যাচ জিতে নেওয়ার। দল হিসেবে এটা কেনই বা তারা করবে না! তারা কিছু ভালো স্পিনার পেয়েছে। তবে আমরাও এই কন্ডিশনে গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছি। যদিও বাউন্সি উইকেটে তারা অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। তবে এই কন্ডিশনে তারা শুরুটা অনেক ভালো করেছে।’
এর আগে, ২০১০ সালে শুধু ইংল্যান্ডই বাংলাদেশে আসেনি, বাংলাদেশও ইংল্যান্ড সফর করেছিল। দুই সিরিজের সব টেস্টেই সহজ জয় পায় ইংলিশরা। তখন ফ্ল্যাট উইকেটে খেললেও এখন টার্নিং উইকেটে খেলার সাহস দেখায় টাইগাররা।
সেদিনের সে বাংলাদেশের তুলনায় বর্তমান বাংলাদেশ অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করেন কুক, ‘তারা খুব দ্রুত উন্নতি করেছে। এর আগে, আমরা ভিন্ন উইকেটে খেলেছিলাম। উইকেট অনেক ফ্ল্যাট ছিল, তারা বল এতো ঘুরাতো না এবং তাই ম্যাচ পাঁচ দিনে যেত।’
এদিন ইংলিশদের চতুর্থ ইনিংসে ২৭২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেখান থেকে স্পিনারদের দৃঢ়তায় দিনের শেষ সেশনেই ১০ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এর জন্য বাংলাদেশি স্পিনারদের কৃতিত্ব দেন কুক। বিশেষ করে অভিষিক্ত মিরাজের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।
‘আমি ভেবেছিলাম ২৭০ রান চেজ করার মত; কিন্তু তাদের স্পিনাররা দারুণ বল করেছে। এই কন্ডিশনে তারা অনেক অভিজ্ঞ। তাদের বোলার অনেক ভালো। আমি জানি যে, ছেলেটা ১৯ উইকেট পেয়েছে সে অভিজ্ঞ নয়। তবে সে খুব ভালো বোলার। সে এই কন্ডিশনে বল করে অভিজ্ঞ।’
আরটি/আইএইচএস/এসআইএস