মেসি-নেইমারদের কষ্টার্জিত জয়
শেষ চার ম্যাচে গ্রানাডার জালে ১৬ গোল দেওয়া বার্সার কাছে বড় জয়েরই প্রত্যাশায় ছিল সমর্থকরা। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের গোল মিসের মহরায় শেষ পর্যন্ত রাফিনিয়ার দেওয়া একমাত্র গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। আর এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে প্রতিপক্ষ শিবিরের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে স্বাগতিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২ মিনিটে ডি বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেজের উদ্দেশে দারুণ একটি ক্রস দেন মেসি। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন উরুগুয়ের এই তারকা।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পান সুয়ারেজ। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে ফেলায় আর গোলের দেখা পাননি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাফিনহার একটি শট ঠেকিয়ে দেন গ্রানাডা গোলরক্ষক। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় বার্সেলোনা। মেসির বাড়ানো বল আরো দুই খেলোয়াড়ের পা ছুঁয়ে আসে নেইমারের কাছে। কিন্তু নেইমারের শট পোস্টে লাগলে ফিরতি বলে ওভারহেড কিকে চমৎকার এক গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহো।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পান সুয়ারেজ। হাভিয়ের মাসচেরানোর উঁচু করে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে ফাঁকায় পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর হেড করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। আর শেষ দিকে ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন মেসি। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে গোল করার মতো পজিশনে বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট করেন তিনি।
বাকি সময় আর কোন গোল না হলে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমাররা। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বার্সেলোনার পয়েন্ট বেড়ে হলো ১০ ম্যাচে ২২। দিনের অপর ম্যাচে মালাগাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
এমআর/এমএস