ব্যাখ্যা নেই তামিমের কাছেও
সকালের সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনের মাঝপথ পর্যন্ত ভালোই চলছিল সব। একের পর এক দারুণ শট খেলছিলেন তামিম-মুমিনুলরা। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল এ উইকেটে ব্যাট করাটা কত সহজ!
কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। এক উইকেটে ১৭১ রানের পর ২২০ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ৪৯ রানেই পড়লো বাংলাদেশের শেষ ৯ উইকেট। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন করুণ পরিণতির ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালও।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের এমন বিপর্যয় নিয়ে তামিম বলেন, ‘এ বিপর্যয়কে যতই আমি ব্যাখ্যা দিতে চাই না কেন, কোনোভাবেই দিতে পারব না। আমরা ভুল শট খেলেছি।’
এদিন ১ রানে ইমরুলকে হারানোর পর দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। ১৭০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন তামিম এবং মুমিনুল। এ সময় মঈন আলির একটি বল না খেলে ছেড়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আত্মহননের পালা। একের পর এক ব্যাটসম্যান ইংলিশ ফিল্ডারদের ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে সাজঘরমুখী হন।
‘আমি বিপর্যয়কে ডিফেন্স করতে আসিনি। প্রথম ১০ ওভার ব্যাটিং করা হয়তোবা কঠিন ছিল। এরপর ২০-২৫ ওভার একটু সহজ ছিল। একটা কারণ হতে পারে, ওই সমটায় আমরা আক্রমণাত্মক ছিলাম। বাউন্ডারি মারার মত বল পেয়েছি। যখন আপনি রানের মধ্যে থাকেন যে কোনো উইকেটেই ব্যাটিং করা সহজ মনে হবে। এছাড়া মুমিনুল যেভাবে ব্যাটিং করছিল তাতে তাই মনে হয়।’
নতুন বলের চেয়ে পুরনো বলে বেশি আক্রমণাত্মক ইংল্যান্ড। তার প্রমাণ তারা চট্টগ্রাম টেস্টেও রেখেছে। এদিনও লাঞ্চের পর দারুণ বল করতে থাকে। বেশকিছু বলে রিভার্স সুইং করায় তারা। আর তাতেই ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
তবে রিভার্স সুইংকে কোন অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাননি তামিম। ‘আজকে শেষ দিকে কিন্তু বল স্পিন করা শুরু করছে। ৪৫ ওভারের পর বল স্পিন করা শুরু করে। আর একটা জিনিস, ওরা যেভাবে বল করছে রিভার্স সুইং করছিল। এটা কোনো অজুহাত না। তবুও, এ ধরণের বল আমরা কোনো জায়গায় খেলি না। ঘরোয়া লিগ কিংবা নেটে কোনো জায়গায় সুযোগ থাকে না।’
তবে এ থেকে শিক্ষা নিতে চান তামিম। আর ১০০ রানের মত করতে পারলে এ টেস্টে নিজেরাই এগিয়ে থাকতেন বলে মনে করেন তিনি, ‘এখান থেকেই অনেক কিছু দেখার আছে, শেখার আছে, করার আছে। এটাই আর কি। সবাই মিলে যদি ১০০ রান বেশি করতাম, আমার থেকে শুরু করে রাব্বী পর্যন্ত তাহলে দলের অবস্থান ভালো থাকত।’
আরটি/আইএইচএস/এমএস