বৃষ্টিতে শেষ দিনের খেলা, বাংলাদেশ এগিয়ে ১৭০ রান
স্পিনারদের ঘূর্ণির সঙ্গে পেসারদের আউট সুইংগারে বিধ্বস্ত হয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট ২২০ রানে। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা খুব বেশি ভালো হলো না। শুরুতেই ওপেনার বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে শুভ সূচনা এনে দিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর অ্যালিস্টার কুক এবং গ্যারি ব্যালান্সকেও ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪২ রানে পড়লো ইংল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট। ১২.৩ ওভার শেষে ৫০ রান করার পরই নামে বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টি নামার পর খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং দিনের খেলাই শেষ করে দেয়া হয়। উইকেট ঢেকে ফেলা হয় ত্রিপল দিয়ে। দিনের খেলা তখনও প্রায় ১১ ওভার বাকি ছিল। প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ১৭০ রান। উইকেটে রয়েছে জো রুট ১৫ রানে এবং মঈন আলি ২ রানে। ইংলিশদের হাতে এখনও রয়েছে ৭ উইকেট।
ইংলিশদের বিপক্ষে বোলিংয়ের শুরুটা মুশফিক করালেন স্পিনার দিয়েই। দুই বাঁ-হাতি ওপেনারের বিপক্ষে একজন ডান হাতি অফ স্পিনার খুব কার্যকরী। এ কারণে তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজের হাতেই বল তুলে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মিরাজের প্রথম ওভারটা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক আর বেন ডাকেট। নিলেন ২ রান। এরপর বোলিংয়ে এলেন সাকিব আল হাসান। বাম হাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বাম হাতি বোলার। ফলে ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে সাকিবকে ভড়কে দিতে চেয়েছিলেন ডাকেট।
কিন্তু সাকিব এত সহজে ভড়কে যাওয়ার মত খেলোয়াড় নন। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে ডাকেট। বলটাকে হালটা ফ্লাইট এবং ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। পায়ের ওপর পড়ে আউট সুইং করে বেরিয়ে যেতেই খোঁচা দিলেন ডাকেট। ব্যাটের কানায় লেগে বল গেলো মুশফিকের গ্লাভসে।
জোরালো আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া দিলেন আম্পায়ার এস রবি। দলীয় ১০ রানেই পড়লো ইংলিশদের প্রথম উইকেট। এরপর মাঠে নামেন জো রুট। তবে অন্য প্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজকে ভালোই শাসন করা শুরু করলেন অ্যালিস্টার কুক। এক ওভারেই তিনবার বাউন্ডারি ছাড়া করলেন মিরাজকে।
মিরাজও বুঝি কিছুটা সংকল্প করে ফেলেছিলেন এরই মধ্যে। কিছুটা আত্মবিশ্বাসীও। পরের ওভারে প্রথম বলেই পেলেন কুককে। মিরাজের করা বলটি পায়ের ওপর পড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাক ফুটে গিয়ে ব্যাটে লাগানোর চেষ্টা করলেন কুক। কিন্তু পারলেন না। বল আঘাত করলো তার প্যাডে। এলবির জোরালো আবেদন। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আউট দিলেন না।
বাংলাদেশ রিভিউর আবেদন করলো। রিভিউতে দেখা গেলো লেগ স্ট্যাম্পটা আঘাত করতো বল। সুতরাং, আবারও পরাজিত ধর্মসেনা। পরাজয় স্বীকার করেই আউট দিলেন তিনি। ২৪ রানে পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।
ইংলিশদের ইনিংসের ১১তম ওভারে তৃতীয় আঘাতটি হানেন মেহেদী হাসান মিরাজই। তার অফ স্পিন বলটি সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ব্যাটের কানায় লাগান গ্যারি ব্যালান্স। বল গিয়ে জমা পড়ে মুশফিকের হাতে। আউটের আবেদন করতেই আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার এস রবি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ (ব্যাটিং)
বাংলাদেশ : ২২০/১০, ৬৩.৫ ওভার (তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব আল হাসান ১০, শুভাগত হোম ৬, তাইজুল ৫*, মুশফিকুর রহীম ৪, ইমরুল কায়েস ১, মেহেদী হাসান মিরাজ ১, সাব্বির রহমান ০, কামরুল ইসলাম রাব্বি ০; মঈন আলি ৫/৫৭, ক্রিস ওকস ৩/৩০, বেন স্টোকস ২/১৩)।
ইংল্যান্ড : ৫০/৩, ১২.৩ ওভার (জো রুট ১৫*, অ্যালিস্টার কুক ১৪, গ্যারি ব্যালান্স ৯, বেন ডাকেট ৭, মঈন আলি ২; মেহেদী হাসান মিরাজ ২/২৬, সাকিব আল হাসান ১/২১)।
আইএইচএস/এমএস