বাংলাদেশের স্পিনারদের সঙ্গে ইংলিশ পেসারদের তুলনা!
ধরা যাক এ মুহূর্তে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশের ক্রিকেট সিরিজটি হচ্ছে ইংল্যান্ডে। তাহলে সেখানকার উইকেটে সুবিধা বেশি পাবে কারা? অবশ্যই পেসাররা। কারণ অনেকটা পরিবেশগত কারণেই হোক আর জিনগত কারণেই হোক ইংল্যান্ডে গড়ে ওঠে মানসম্মত পেসার। তাই নিজেদের শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য এমন উইকেট তৈরি করে তারা। আর উপমহাদেশে অনেকটাই হয় তার উল্টো। এখানে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররাই ভালো করে থাকেন। এমনকি এখানকার বোলাররা পরিবেশগত কারণেই গড়ে ওঠেন স্পিনার হিসেবেই।
বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রশংসা করতে গিয়ে ঠিক এমনটাই বলেছেন ইংলিশ দলের অধিনায়ক আলিস্টার কুক, ‘বাংলাদেশের দিকে তাকান, দেখবেন তারা এমন কন্ডিশনে বল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা এভাবেই বড় হয়েছে। ঠিক আমাদের দেশে দেখেন সেখানে পেসাররা অনেক বেশি সুইং পায়, গতি পায়। সেখানে পেসাররা দারুণ বল করে, বিষয়টি অনেকটাই এমন। এটাই এখানকার পরিবেশ এবং আমি এতে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’
চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশি স্পিনাররা। ২০ উইকেটের ১৮টিই তুলে নেন সাকিব-মিরাজরা। খারাপ করেননি ইংলিশ স্পিনাররাও। বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১২টি তুলে নিয়েছে তারাও। তার পরেও নিজেদের থেকে বাংলাদেশের স্পিনারদের এগিয়ে রেখেছেন কুক। তবে তাদের স্পিনাররা আরো উন্নতি করবেন বলেই আশা করছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
‘আমার মনে হয় একটি চমৎকার টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ খেলেছে। তারা বল স্পিন করাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, এভাবেই তারা গড়ে উঠেছে। তবে আমরাও সে ধারা ধরতে চেষ্টা করছি। সফরে আমার মনে এটা খুব ভালো শুরু আমাদের। আশা করি আমরা উন্নতি করবো। আমাদের স্পিনাররা আরো উন্নতি করবে।’
বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরের সুবিধা কে না নিতে চায়। সে ধারায় চট্টগ্রামে টার্নিং উইকেট তৈরি করে দারুণ লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টেও এমন কিছুর সম্ভবনা দেখছেন কুক।
আরটি/এনইউ/পিআর