নিজেদের স্পিনারদেরই এগিয়ে রাখছেন মুশফিক
গ্যারেথ ব্যাটি, আদিল রশিদ ও মঈন আলি; এ তিন স্পিনারের কম্বিনেশন নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে নেমেছিল ইংল্যান্ড। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজে সর্বাধিক উইকেট শিকারী রশিদই ছিলেন নজরে। দারুণ বোলিংও করেছিলেন ইংলিশ স্পিনাররা। কিন্তু তার পরেও নিজেদের স্পিন আক্রমণকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। সব ধরনের পরিস্থিতিতে বোলিং করতে পারার কারণে বাংলাদেশের স্পিনারদের এগিয়ে রাখছেন টাইগার দলপতি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘ওদের স্পিনারদের অ্যাটাক করতে হয় না। রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে লম্বা সময় বোলিং করে গেলেই হয়। আমাদের স্পিনাররাই মূল শক্তি, ওদেরই অ্যাটাক করতে হয়, উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়। রক্ষণাত্মক বোলিং করে লাভ হবে না। সেদিক থেকে বলব যে আমাদের স্পিনাররা এগিয়ে। আমাদের স্পিনাররা অন্তত তিনটা কন্ডিশনে বল করতে পারে। পুরনো বলে হোক বা নতুন বলে, অ্যাটাক করে বা ডিফেন্সিভ হলে, তারা খেলতে পারে। এটা আমাদের ন্যাচারাল।’
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শফিউল ইসলামের সঙ্গে নতুন বল তুলে নিয়েছিলেন অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই প্রান্তেই স্পিন। মিরাজের সঙ্গে ছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের স্পিনারদের নতুন বলে বল করার ক্ষমতাকে অনেক এগিয়ে রাখছেন মুশফিক। এমনকি প্রথম টেস্টে দারুণ বোলিংয়ের পর আরো ভালো বোলিং করার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান অধিনায়ক।
‘আমাদের এখানে ওয়ানডেতেও স্পিনাররা নতুন বলে বল করে অভ্যস্ত। যেটা বাইরের দেশে অনেকেই অভ্যস্ত না। সেদিক থেকে আমাদের স্পিনাররা এগিয়ে। তার পরেও বলবো, গত টেস্টে আমাদের স্পিনাররা আরো ভালো বল করতে পারত। হয়তো ১৫ মাস পর খেলেছে, কিন্তু এরকম উইকেটে প্রথম ইনিংসে আকেটু ভালো বোলিং করলে ওদের রান একটু কম হতো।’
উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে ইংলিশদের ২০ উইকেটের ১৮টি উইকেটই পায় স্পিনাররা। একটি উইকেট পান পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি, অপর উইকেটটি আসে রানআউট থেকে। অপরদিকে ইংলিশরা বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১২টি পেয়েছিল স্পিনাররা।
আরটি/এনইউ/এবিএস