ডিআরএস একটা আজব জিনিস : তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ জিতে যেতো যদি ডিআরএসের যথেচ্ছ ব্যবহার না হতো। আম্পায়ারদের ২৬টি সিদ্ধান্ত রিভিউ হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি সিদ্ধান্তই ছিল কুমার ধর্মসেনার। আটটি সিদ্ধান্ত ছিল তার ভুল। অর্থাৎ ডিআরএসের কারণে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে আসল ভিলেনের নাম ডিআরএস।
ঢাকা টেস্টেও ব্যবহার হবে এই পদ্ধতি। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়। এ বিষয়টাকে ‘আজব’ বলে অভিহিত করলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। মিরপুরে সাংবাদিকেরা তামিম ইকবালের কাছে ডিআরএস সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা আজব জিনিস। এটা আমি খুব একটা ভালো বুঝি না। এটা আসলে কিছু সময় থাকবে আমাদের পক্ষে যাবে, আবার ওদের পক্ষেও যাবে। এ বিষয়টা আসলে অনেকটা ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। আমি মনে করলাম এটা ক্লোজ আউট, কিন্তু আম্পায়ার মনে করল ভিন্ন জিনিস।’
ডিআরএস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলেও জানান তামিম। তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে আমরা আসলে খুব একটা চিন্তিত নই। আমাদের সবকিছুর আগে ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেখানেই বেশি ফোকাস করছি। উইকেট বলেন, টস বলেন, ডিআরএস বলেন- এগুলো সব পরের বিষয়। আমাদের সবার আগে ভালো খেলতে হবে। ভালো খেললেই সব সম্ভাবনা আসবে।’
ডিআরএসের বিষয়ে খেলোয়াড়রা আগে থেকে প্রস্তুত ছিল কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। এটা হঠাৎ করে হয়নি। এক মাস আগে থেকেই আমরা জানতাম। আমি নিশ্চিত, সবাই মানসিকভাবে তৈরি ছিল। আমরা চেষ্টা করব, কষ্ট করে যতটুকু খেলা যায়। এটা আসলে খুব বেশি বড় সমস্যা না। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করে তৈরি হয়েছি।’
ঢাকা টেস্টে নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘আমার সবসময় একটাই লক্ষ্য থাকে, বাংলাদেশ দলের হয়ে যত বেশি রান করা সম্ভব। আমি যদি সেট হই, আমার যদি সুযোগ থাকে ইনিংসটাকে বড় করার- সেটাই করব। এর চেয়ে বেশি কিছু তো আর বলতে পারব না। আমি চেষ্টা করব সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগানোর।’
আইএইচএস/এবিএস