মিরপুরে চাইলেও ‘স্পিনিং ট্র্যাক’ করা অসম্ভব!
এক ঝাঁক বিদেশি কোচিং স্টাফের পাশাপাশি বেশ ক’বছর তিনিও আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে। খেলা থাকুক বা নাই থাকুক, শেরে বাংলায় দিনের বেলা গেলে চোখে পড়বে এক দীর্ঘদেহী ভদ্রলোক সর্বক্ষণ মাথায় হ্যাট পড়ে ঘুরছেন মাঠের মাঝখানে।
তিনি গামিনি ডি সিলভা। বিসিবির চিফ কিওরেটর। দিনের বড় সময় তার মাঠে কাটালেও তাকে নিয়ে আছে নানান কথা। অনেক প্রশ্নও।
আচ্ছা বিসিবি যে গামিনির পিছনে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এর ফল কী? এ লংকান কিওরেটর যে পরিমান অর্থ পান, সে সঙ্গে যে রকম আনুসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা তাকে দেয়া হয়- তার পারফরমেন্স কি সেই মানের?
জেনে নিন তাহলে, গামিনির মাসিক বেতন সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা)। গুলশানে একটি সুসজ্জিত ফ্ল্যাট (ভাড়া ৬৫ হাজার টাকার মত)। সঙ্গে একটি সার্বক্ষণিক গাড়ী ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা।
এত কিছুর পাওয়ার পরও এ পারফরমেন্স নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। এবার তার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক কিওরেটর জাহিদ রেজা বাবু।
মাসিক বেতন ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধায় যিনি গামিনির ধারে কাছেও নন। অনেক অনেক পেছনে। গামিনির ২০% বেতন ভাতাও পান না বাবু; কিন্তু এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুশফিক বাহিনীর সঙ্গে মানানসই স্পিন ট্র্যাক তৈরী করে বাবু দেখিয়ে দিয়েছেন, বেতন-ভাতা ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা কম পেলে কি হবে, বাংলাদেশের কিওরেটরদেরও সামর্থ্য আছে। তারাও পারেন জাতীয় দলের শক্তি ও সামর্থ্যরে সঙ্গে মানানসই উইকেট তৈরী করতে।
এখন দেখার বিষয় গামিনি কি করেন? এরই মধ্যে ক্রিকেট পাড়ায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে একটি বিশেষ কারণে। তাহলো, গামিনি যদি বাবুর মত করে চেষ্টাও করেন, তাও নাকি শেরে বাংলায় অমন টার্নিং উইকেট তৈরী সম্ভব নয়। আর সম্ভব হলেও ঐ পিচ তিন দিন পর ভেঙ্গে যাবে। যা হবে আইসিসিরি নিয়ম নীতির লঙ্ঘন।
গত বছর নাগপুরে এমন উইকেট তৈরী করেছিল ভারত। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকারমত দল খেলতেই পারেনি। একবার ৭৯ রান এবং অন্যবার তারা অলআউট হয়েছে ১৮৫ রানে। ভারতও বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। প্রথমবার ২১৫ এবং পরেরবার তারা অলআউট হয়েছে ১৭৩ রানে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এমন উইকেট তৈরীর কারণে আইসিসির সরাসরি সমালোচনায় মুখর হয়েছিল ভারতের।
আইএইচএস/আরআইপি