শেষের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি মুশফিকদের
জয়ের খুব কাছে গিয়েও অধরাই রইল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়। আর তাতে অপেক্ষা বাড়লো টাইগারদের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যেখানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখে হাসি থাকার কথা ছিল, সেখানে জয়ের হাসি হাসলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। কারণ ঐতিহাসিক জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা মুশফিকদের শেষের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি।
তাইজুল ইসলাম ও সাব্বির রহমান শেষ দিনে যখন মাঠে নামেন, তখন জয় থেকে মাত্র ৩৩ রান দূরে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড যে দুই দিক থেকে পেস আক্রমণ চালাবে, এটা মাথায়ই ছিল স্বাগতিকদের। তার পরেও কেন সাব্বির এক রান নিয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে চলে গেলেন? রান না নিয়ে বরং নিজেই তো ব্যাট করতে পারতেন? এমন প্রশ্নই হয়তো ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে। বিষয়টি স্পষ্ট করলেন মুশফিক। জানালেন, তাইজুল ইসলামের ওপর বিশ্বাস ছিল স্বাগতিক শিবিরে।
ঘরোয়া লিগে ভালো ব্যাটও করে থাকেন তাইজুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও শেষ দিকে রান নেয়ার মতো ক্ষমতা তার আছে। টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ ভাগে তা প্রমাণ দিয়েছিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতেও ভালো রান পাচ্ছিলেন। দুর্দাগ্য তার। সাব্বিরকে শেষ পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে পারেননি। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে গেছে ২২ রানে।
সাব্বির কেন রান নিয়ে প্রান্ত বদল করলেন? এই প্রশ্নের উত্তরটাই বোধ হয় মুশফিক দেয়ার চেষ্টা করলেন এভাবে, ‘সাব্বির একাই ৩৩ রান করতে পারতো না। তাছাড়া তাইজুলও যে খারাপ খেলে, তা কিন্তু নয়। এটা যদি শেষ উইকেট হতো, তাহলে ভিন্ন বিষয় হতো। আর বিষয়টা এমন না যে এক দিক থেকে স্পিন আর অন্য দিক থেকে ওরা পেস করছে। দুই দিক থেকেই পেস ব্যবহার করবে, এটাই খুব স্বাভাবিক। আর সাব্বির যদি বাড়তি ঝুঁকি নিতে গিয়ে আউট হতো, তাহলে তো খেলা আরো আগেই শেষ হতো।’
শেষ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল এমন যে তাইজুল যতটা সম্ভব সাপোর্ট দিয়ে যাবে। আর একদিক থেকে সাব্বির রান নেবে। গতকাল (রোববার) শেষ দিকে তাইজুল খুব ভালো ব্যাট করছিল, আজকের শুরুটাও তার ভালো ছিল। তাই সিদ্ধান্ত ছিল, যদি রান নেয়া যায়, তাহলে রানটা নিয়ে নেওয়া।’
এনইউ/পিআর