আশা জাগিয়েও ফিরে গেলেন মুশফিক
১৪০ রানের মধ্যে প্রথম সারির পাঁচ উইকেট নেই। শঙ্কা ছিল দুইশত রানের আগেই অলআউট হয়ে যায় কি না বাংলাদেশ! তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম আর অভিষিক্ত সাব্বির রহমানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে সে শঙ্কা কাটিয়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু দারুণ ছন্দ নিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশকে আবারও আঘাত দেন ৩৯ বছর বয়সী বুড়ো গ্যারেথ ব্যাটি। মুশফিককে শর্ট লেগে গ্যারি ব্যালান্সের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
তবে আউট হওয়ার আগে সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছেন মুশফিক। শুরু থেকেই দেখে-শুনে সুস্থির ব্যাটিং করছিলেন মুশফিক। ১২৪ বল মোকাবেলা করে ৩৯ রান করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এ রান করতে ৩টি চার মেরেছেন তিনি।
তবে অপর প্রান্তে তুলনামূলকভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন সাব্বির রহমান। ৬৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন এ ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৯ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৫৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে রোববার ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ৩৫ রানের জুটি করেন। মঈন আলির বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে বিদায় নেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তামিমের বিদায়ের পর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে আদিল রশিদের বলে সুইপ করতে গিয়ে রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৬টি চারে ৪৩ রান করেন এ ওপেনার।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল। দলের সংগ্রহ শতরান পার করার পর অল্পক্ষণই মাঠে ছিলেন এ স্পেশালিস্ট। গ্যারেথ ব্যাটির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ২৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ের পর গ্যারেথ বাটির দ্বিতীয় শিকার হন মাহমুদউল্লাহ (১৭)। তিনিও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েই বিদায় নেন।
এরপর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন দলীয় অধিনায়ক মুশফিক। ৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে সবাইকে হতাশ করে মঈন আলির বলে জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
আরটি/আইএইচএস/পিআর