ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

তামিম মনে করেন, বাংলাদেশই এগিয়ে

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৬

আচ্ছা দ্বিতীয় দিন শেষে কোথায় দাড়িয়ে বাংলাদেশ? অ্যালিস্টার কুকের বাহিনীর চেয়ে মুশফিকের দল এগিয়ে, না পিছিয়ে? নাকি সমানে সমান? অংকের হিসেবে যদিও ইংলিশরা ৭২ রানে এগিয়ে।

তারপরও আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষে খেলার যা চালচিত্র তাতে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে তা বলার কিংবা ভাবার কি সুযোগ আছে? অতিবড় ইংলিশ সমর্থকও হয়ত তা ভাবছেন না।

ইংলিশ স্পিনার গ্যারেথ বেটিও তা মনে করেন না। আর তা মনে করেন না বলেই দিন শেষে অফিসিয়াল মিডিয়া সেশনে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন ‘দু দল এখন সমান্তরালে দাড়িয়ে। কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখার মত অবস্থা নেই।’  

গারেথ বেটি অমন ভাবতে ও বলতেই পারেন; কিন্তু বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালের ধারণা, বাংলাদেশই একটু এগিয়ে।

কেউ হয়ত ফোড়ন কাটতে পারেন, অংকের হিসেবে বাংলাদেশ তো এখনো ৭২ রানে পিছিয়ে, তাহলে এগিয়ে থাকা কিভাবে? শুক্রবার খেলা শেষে অঅনুষ্ঠানিক সংবাদ সন্মেলনে তামিম সে ব্যাখ্যাই দিয়েছেন।

মিডিয়া মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার মতে টাইগাররাই একটু এগিয়ে। সেটা কিভাবে? তামিমের ব্যাখ্যা, ‘এখনো আমি মনে করি, আমরা হয়তো একটু ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের হাতে এখনও পাঁচটি উইকেট আছে।’

এটুকু বলে পরক্ষণে আবার ইংলিশদের সামনে টেনে এনে বলেন, ‘আবার সমান সমানও মনে হয়।’ এই সমান সমান মনে হওয়ার পরের কথাগুলোয় তামিম পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুই দলের কে কোথায়?

তার যুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে। শুধু মাঝখানে একটা ‘যদি’ জুড়ে দেয়া আছে। ‘আমরা যদি কালকে (শনিবার) ভালো একটি সেশন পার করতে পারি তাহলে সামনে চলে যাব। যদিও উইকেট মোটেই সহজ নয়। সেটাই চিন্তা। যদি মুশফিক আউট না হত, তাহলে বড় গলায় বলতে পারতাম আমরা ভালো একটি দিন কাটিয়েছি এবং আমরাই এগিয়ে।’

তামিমের কথায় সমালোচকদের কেউ কেউ হয়ত আবেগ খুঁজে বেড়াবেন; কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি ও ব্যাখ্যায় তার বক্তব্যই সঠিক। যোগ বিয়োগের হিসেব-নিকেশে হয়ত দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে, তবে সেটা খালি চোখে; কিন্তু ম্যাচের চালচিত্র একটু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে মনে হবে তামিমের কথাই ঠিক।

আজ পর্যন্ত ইংলিশদের রান টপকানো সম্ভব না হলেও বাংলাদেশের সামনে যথেষ্ট সুযোগ, সম্ভাবনা ও পর্যাপ্ত সময় আছে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার। পাঁচ ব্যাটিং স্তম্ভের দুই ওপেনার তামিম (৭৮)-ইমরুল (২১), মমিনুল (০), মাহমুদউল্লাহ (৩৮) ও মুশফিক (৪৮) আউট হয়ে গেলেও সাকিব (৩১*) এখনো ক্রিজে।

ব্যাট ও বল হাতে সন্দেহাতীতভাবেই যিনি দলের অন্যতম সেরা ও নির্ভরযোগ্য পারফরমার- সেই সাকিব আল হাসান উইকেটে থাকার অর্থ একপ্রান্তে পাহাড় সমান নির্ভরতা। সাকিবের সঙ্গে আজ দিনের খেলা শেষে ব্যাট হাতে অপরাজিত অবস্থায় সাজঘরে ফিরেছেন নৈশপ্রহরী (নাইটওয়াচম্যান) শফিউল ইসলাম।

তার মানে আর যে চারজনের ব্যাট করা বাকি, তার মধ্যে আরও দুজন আছেন যাদের নামের পাশে ব্যাটসম্যান তকমা আছে। সাব্বির রহমান রুম্মনের প্রথম শেণির ক্রিকেটে তিনটি সেঞ্চুরি আছে। মাত্র ১২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচের ১৪ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ এখন পর্যন্ত শতরানের নাগাল না পেলেও পাঁচবার পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছেছেন।  

মোদ্দা কথা আরও তিন তিনজন ব্যাটসম্যান আছেন। সাকিবের সঙ্গে অভিষেক হওয়া সাব্বির আর বল হাতে আবির্ভাবেই বাজিমাত করা মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে যদি কাল সকালের সেশনের পুরো খেলতে পারেন, তাহলে ৭২ রানের ঘাটতি পুষিয়ে লিড নেয়াই স্বাভাবিক।

পুরো ইনিংসে এখন পর্যন্ত বড় সড় জুটি গড়ে ওঠেনি। তামিম ও মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ উইকেটে ৯০‘ই সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ। এরপর উল্লেখ করার মত জুটি বলতে মুশফিক ও সাকিবের পঞ্চম উইকেট জুটির ৫৮।

বাকি পাঁচ উইকেটে অমন দুটি জুটি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশের ৭০/৮০ কিংবা তারও বড় ব্যবধানে লিড নেয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে নিতে হবে অগ্রনী ভুমিকা।

শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে না পারলেও তামিম সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি (২২১ মিনিট) ক্রিজে থেকে একদিক আগলে রাখার কাজটি করেছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। আগামীকাল ঠিক সেই কাজ যদি সাকিব করতে পারেন আর সাব্বির রহমাম রুম্মন ও মেহেদী হাসান মিরাজ মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের মত সাপোর্ট দিতে পারেন তাহলে তামিম যে ‘যদি’ জুড়ে দিয়ে বলেছেন, তাই হয়তো সত্যি হয়ে যাবে।

এআরবি/আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন