ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

স্পিন কোচ সোহেল ইসলামকে কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৬

সারা দিন প্রায় একই জায়গায় বোলিং করা, পাশাপাশি টার্নে ইংলিশদের বিপাকে ফেলা দেখে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতেই সবার প্রশংসাধন্য এ অফস্পিনার।

সবার কথা ছেলেটি বয়সে নবীন, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা হয়তো কম; কিন্তু পরিণত। সাহস আছে। কখন কি করতে হবে, তাও ভাল জানা আছে তার। টেস্ট ক্রিকেটের মত বড় মঞ্চে কিভাবে পারফর্ম করতে হয়, কেমন করে সাফল্য তুলে আনতে হয়- তাও ভাল জানা।

দর্শক ও ভক্তরা শুধু তার বোলিং কারিশমা দেখেই অমন প্রশংসাসূচক বাক্য আওড়াচ্ছেন; কিন্তু দিন শেষে কথা শুনে বোঝা গেল মিরাজ সত্যিই জানেন, বয়স ভিত্তিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে টেস্ট ক্রিকেটের কত বিস্তর ফারাক?

ঘরোয়া ক্রিকেট আর টেস্টের পার্থক্যটা আগে থেকে জানাই যে তার শুরুর সাফল্যের মুল কারণ! বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্সে কথা বলতে গিয়ে মিরাজ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ঘরের ক্রিকেটের মানের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের রাজ্যের ফারাক।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহজ জায়গা নয়। অনেক কঠিন। এখানে ধৈর্য্য রাখতে হয়। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা ভুল করে কম। এখানে সবাই ভালো জায়গায় পিচ পড়া ডেলিভারি আর খারাপ জায়গার বল পড়া খুব তাড়াতাড়ি বুঝে ফেলে এবং খারাপ ও আলগা ডেলিভারিকে দ্রুত শাস্তি দিয়ে সীমানার ওপারে পাঠাতে পারে- এসব বিষয় তার আগেই জানা।

তবে মিরাজের দাবি, তার বয়স ভিত্তিক কোচ সোহেল ইসলামই তাকে অনেক গাইড করেছেন। বড় মঞ্চে পারফরম করার পরামর্শ ও বুদ্ধি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এখানে খারাপ বল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সব সময় এক জায়গায় টানা বল করে যেতে হয়। আমি যেই জিনিসটা বলতে চাই ভালো বল করে আর অ্যাকিউরেসি থাকার কারণে আমি ন্যাশনাল লিগ খেলেছি। আমার স্পেশালিস্ট যে স্পিন কোচ সোহেল স্যারকে ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি। আমাদের সোহেল স্যার, উনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অ্যাসিসটেন্ট কোচ ছিলেন। সেই অনুর্ধ্ব-১৫ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে গাইড করছেন। সে সময় আমার সঙ্গে ডিসকাস করেন। কিভাবে উন্নতি করা যায়, তা শেখান। আমি সব সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং সে সময় আমাকে বলে। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে এবং আমার বিশ্বাস সোহেল স্যারেরও ভালো লাগছে। ’

আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন