মুশফিককে আশা দেখাচ্ছে ইতিহাস
ইংলিশদের শুরুতে চাপে ফেলে দিয়ে টস জিততে না পারার হতাশা নিশ্চয়ই কেটে গেছে মুশফিকুর রহিমের। এই মাঠে ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত চারটি টেস্টের তিনটিতে তিনি টস হেরেছেন। তবে সে টস হার একবারের জন্যও কষ্টের কারণ হয়নি। বড় হয়ে দেখা দেয়নি।
শুধু ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টস জিতেছিলেন। ম্যাচও জিতেছিলেন ( ১৮৬ রানে)। এই ম্যাচটি ছাড়া শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিন আফ্রিকার সাথে টস হার বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত দুটি টেষ্টই ড্র থেকে গেছে। বাংলাদেশ সমর্থকদের মধ্যে যারা সংস্কারবাদী, তারা আশার জাল বুনতেই পারেন, দেখা যাক, আগের দুই টস হারা টেষ্টের মত এ ম্যাচও ড্র হয় কিনা ?
এই মাঠে ২০১৫ সালের ২১-২৫ জুলাই শেষ টেষ্টেও টস হেরেছিলেন মুশফিক। বৃষ্টিতে চরম বিঘ্নিত ঐ ম্যাচের শেষ দুদিন খেলাই হয়নি। বৃষ্টির সহায়তায়ই হোক, আর বাংলাদেশের লড়াকু পারফরমেন্সের কারণেই হোক ঐ ম্যাচ ড্র থেকে গেছে।
টস জিতে ব্যাট বেছে নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক হাশিম আমলা। কিন্তু যে লক্ষ্যে আগে ব্যাট বেছে নেয়া, তা সফল হয়নি।
বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ও লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের সাড়াশি বোলিং আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ২৪৮ রানে। পেসার মোস্তাফিজ ৪ উইকেটের পতন ঘটিয়েছিলেন ৩৭ রানে। আর লেগি জুবায়ের হোসেন লিখনের ঝুলিতে জমা পড়ে ৩ উইকেট (৫৩ রানে)।
এছাড়া তিন স্পিনার সাকিব , মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল পান একটি করে উইকেট। প্রোটিয়াদের আড়াইশোর নিচে আটকে রেখে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস লিড নিয়ে ফেলে। কারো ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি না আসলেও এ শহরের ছেলে তামিম ইকবাল ( ৫৭), মাহমুদউল্লাহ ( ৬৭), মুশফিকের বদলে কিপিং করা লিটন দাস ( ৫০) ও সাকিব আল হাসানের ( ৪৭) দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড পায় টাইগাররা।
তারপর আসে বৃষ্টির ভয়াল আক্রমণ। প্রকৃতির বৈরিতায় তৃতীয় দিন থেকে সে অর্থে মাঠে আর খেলাই গড়ায়নি। আজ যে রোদ ঝলমলে সকালে টেষ্ট শুরু হয়েছে, তাতে ১৪ মাস আগের মত বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ বিঘ্নিত হবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। এমন কথা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
তবে একটা কথা বলাই যায়, এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বৃষ্টির কারণে ড্র হওয়া ম্যাচটি হয়েছিল ভড় বৃষ্টির মৌসুমে। আর এ ম্যাচ শুরু হলো অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ কিংবা লঘু চাপ না হলে বছরের এ সময় বৃষ্টিপাত কমই হয়। কাজেই একটা জমজমাট টেষ্টের আশা করাই যায়।
এআরবি/এমআর/এবিএস